ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পঞ্জাবের এক মন্ত্রী ফৌজা সিংয়ের বিরুদ্ধে। আর তারই জেরে একেবারে পদত্যাগই করে বসেলন পঞ্জাবের ওই মন্ত্রী। তবে ফৌজা সিংয়ের দাবি, তিনি নাকি ব্যক্তিগত কারণেই এই পদত্যাগ করেছেন। ফৌজা সিং সারারির এই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এরফলে নতুন করে পঞ্জাবে আপ সরকারের উপর যে এক রাজনৈতিক চাপ তৈরি হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিয়োটিতে অর্থের বিনিময়ে একটি চুক্তির কথা বলতে শোনা যায় আপের এই মন্ত্রাীকে। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তাল হয় পঞ্জাব রাজনীতি।মান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে সরব হয় বিজেপি, কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দল।এরই পাশাপাশি এই ঘটনায় চাপ বাড়তে থাকে উদ্যানপালন মন্ত্রীর উপর।অবশেষে শনিবার মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান ফৌজা সিং।তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।পাশাপাশি এও জানান, তাঁকে হেয় করতেই ওই অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এদিকে, গত কয়েকদিন থেকে কানাঘুষো এও শোনা যাচ্ছে পঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। আর উদ্যানপালন মন্ত্রীর এই পদত্যাগের পর এই জল্পনায় কার্যত এক সিলমোহর পড়লই বলা চলে। তবে দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্জাবে আপ মন্ত্রী পদত্যাগ এই প্রথম নয়।কংগ্রেসকে হটিয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতা দখলের কয়েকদিনের মধ্যে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি টেন্ডারের এক শতাংশ কমিশন দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এরপরেই সিংলা-কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। শুধু তাই নয়, পরে পঞ্জাবের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এই ঘটনা শুধু পঞ্জাবেই নয়, এর আগে দিল্লির আপ সরকারেরও একাধিক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ।
শুধু জৈন নন, দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও। আবগারী দুর্নীতে জড়িত সন্দেহ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশিও চালায় সিবিআই। দিল্লি ও পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসার সময় স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, ততই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে আপ সরকারের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের ঘটনায় ভগবন্ত সরকারকে নতুন করে বিরোধীরে সমালোচনার মুখে যে পড়তে হবে, তা বলাই যায়।