কানপুর: ২-এর নামতা বলতে বলেছিলেন শিক্ষক। বলতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। তাই শাস্তি দিতে ড্রিল মেশিন দিয়ে হাতে ফুটো করে দিলেন শিক্ষক! অভিযোগ এমনটাই।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের প্রেমনগরের একটি বেসরকারি স্কুলে। সূত্রের খবর, ক্লাসে ২-এর নামতা বলতে বলেছিলেন শিক্ষক। কিন্তু এক পড়ুয়া তা বলতে না পারায় ক্ষেপে ওঠেন ওই শিক্ষক। ড্রিল করার মেশিন দিয়ে নাবালিকার বাঁ হাতে তিনি ফুটো করে দেন বলে জানিয়েছে ওই ছাত্রী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক পড়ুয়া ড্রিলিং মেশিনটি সুইচবোর্ড থেকে খুলে নেয়।ড্রিল করায় ওই পড়ুয়ার হাতে লাগে। সে আহত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপরও ওই শিক্ষক বিষয়টা কাউকে জানাননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লুকিয়ে যান। উল্টে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই পড়ুয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে নিজের বাবা-মার কাছে সমস্ত কথা খুলে বলে ওই ছাত্রী। এরপরেই তার পরিবারের লোকজন স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে ব্লক শিক্ষা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কানপুরনগরের বেসিক শিক্ষা অধিকারী সুজিতকুমার সিং জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রেমনগর এবং শাস্ত্রীনগরের ব্লক এডুকেশন আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা দিয়েছেন সুজিতকুমার সিং।