কলকাতা: রাজ্যে নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে এবার পাবলিক সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিটের বিকৃতি ঠেকাতে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। যে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওএমআর প্রস্তুতি, সরবরাহ ও সেগুলি মূল্যায়ণের দায়িত্বে থাকবে তার কাজের গুণগত মান ও কর্মীদের বিশ্বাসযোগ্যতার মূল্যায়ণেও নয়া শর্তও আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসি’র ওএমআর কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বেসরকারি সংস্থা গত এক বছর ধরে পিএসসি’র নিয়োগ পরীক্ষাগুলিতে ওএমআর সরবরাহ ও মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল। সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীলাদ্রি দাস শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগে ওএমআর কারচুপির দায়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই পিএসসি সংস্থাটিকে বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করে। এর জেরে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বাছাইতে গত ৮ এপ্রিল কমিশন যে টেন্ডারের নোটিস দিয়েছিল, ১৯ তারিখ তারই সংশোধনীতে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নয়া শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সংলিস্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ১০৫ জিএসএম (গ্রামস পার স্কোয়ার মিটার) পুরু ওএমআর শিটগুলির কাগজের গুণাগুণ সংক্রান্ত শংসাপত্র প্রয়োজনে ল্যাব টেস্ট করে জমা দিতে হবে। অন্যথায়, ওএমআরের সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা আগে যেসব জায়গায় নিয়োগের দায়িত্ব সামলেছে, সেখান থেকে কাজ ১০০ শতাংশ সম্পন্ন করার ‘ওয়ার্ক কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ আনতে হবে।
শুধু কাজের বরাত পাওয়ার ওয়ার্ক অর্ডারে চলবে না। দুর্নীতি ঠেকাতে ওএমআর মূল্যায়নের ‘গোপন’ কাজে নিয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মানবসম্পদের প্রত্যেকের সম্পর্কে শংসাপত্র জমা দিতে হবে। কারও আত্মীয়-পরিজন ওই নিয়োগ পরীক্ষায় বসছেন না। এই ধরনের সংস্থার গত পাঁচ বছরে এক-একটি নিয়োগ পরীক্ষায় এক লাখেরও বেশি ওএমআর স্ক্যান করে মূল্যায়নের অভিজ্ঞতাও বিচার্য শর্ত। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে প্রতি জেলায় প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের জন্য আলাদা করে সিলবন্দি প্যাকেট ঠিকানা সহ পাঠাতে হবে।