নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এবার এই ঘটনায় কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নতুন সংসদ ভবনের সামনে রবিবার বিক্ষোভ প্রদর্শনের উদ্যোগ নেন কুস্তিগীররা। এদিকে সূত্রে খবর, এদিন কুস্তিগীররা যন্তর মন্তর থেকে মিছিল করে রওনা্ দেওয়ার পরেই তাঁদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সাক্ষী মালিক সহ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। কিছু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে যন্তর মন্তরে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তাঁদের অভিযোগ ছিল, যে অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করা হয়েছিল তা ভাঙার চেষ্টা করে পুলিশ।
এরপরই এই ইস্যুতে টুইট করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘দিল্লি পুলিশ যেভাবে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট এবং অন্যান্য কুস্তিগীরদের সঙ্গে আচরণ করেছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, ‘পুলিশ যাতে অবিলম্বে তাঁদের মুক্ত করে সেই দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের কুস্তিগীরদের সঙ্গে রয়েছি।’ উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেপ্তারির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন কুস্তিগীররা। এদিন তাঁরা নয়া সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য উদ্যোগ নে.। কিন্তু, আগে থেকেই সেই বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রস্তুতিও নিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। একাধিক জায়গায় ব্যরিকেড করার পাশাপাশি গোটা রাজধানীকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল পুলিশে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আন্দোলনের অনুমতি পাননি এই কুস্তিগীররা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তাঁরা মহিলা মহাপঞ্চায়েত তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের সম্মান করি। কিন্তু, নয়া সংসদ ভবন অনুষ্ঠানে যদি কোনও হস্তক্ষেপ হয় সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই তা বরদাস্ত করা হবে না।’
প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণকে যতদিন না গ্রেপ্তার করা হবে ততদিন আন্দোলন চালানোর কথা বলেন কুস্তিগীররা। এদিকে যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই ব্রিজভূষণ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর আরও মন্তব্য, কুস্তিগীররা প্রথমে ফেডারেশনের প্রধান পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছিল। কিন্তু, তিনি যেহেতু কোনও অপরাধ করেননি, তাই তিনি পদত্যাগ করবেন না। পাশাপাশি তাঁর সম্মানহানি করছে কংগ্রেস এই দাবিতেও সরব হন তিনি।