ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন অনেকেই। এর মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিখ ক্লাসেন, কুইন্টন ডি’কক, ত্রিস্তান স্টাবসরাও। বিশ্বকাপের মঞ্চেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলবেন, এমন প্রত্যাশাই ছিল। তবে নিউ ইয়র্কের পিচ সেই সুযোগ দিল না। অনরিখ নর্টজে, রাবাডা, মহারাজদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কা মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ৭৮ রান তুলতেও দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটারদের হিমসিম পরিস্থিতি। যা দেখে পিচ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক আমেরিকা। প্রথম বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচটি হয়েছিল ডালাসে। কানাডার মুখোমুখি হয়েছিল আয়োজক আমেরিকা। ডালাসে হাইস্কোরিং ম্যাচ দেখা গিয়েছিল। তবে মূল নজর ছিল নিউ ইয়র্কেই। তার কারণ, এখানকার পিচ। আমেরিকায় ড্রপ ইন পিচ। আর নিউ ইয়র্কের এই মাঠেই ভারত-পাকিস্তানের মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচ রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পিচ যা দেখা গেল, তাতে ব্যাটাররা চিন্তায় পড়তে বাধ্য।
মাত্র ৭৮ রানের টার্গেট তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার লাগলো ১৬.২ ওভার। শেষ অবধি ৬ উইকেটের স্বস্তির জয়। একেক সময় মনে হয়েছে ম্যাচ আরও ক্লোজ হতে পারত। শট খেলতে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ব্যাটাররা। তার অন্যতম কারণ, পিচের অসমান বাউন্স। বেশির ভাগ ডেলিভারিই হাঁটুর নিচে নামছিল। শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ২ উইকেট নেন। নুয়ান তুষারা এবং দাসুন শানাকার একটি করে উইকেট। ক্যাচ না পড়লে ম্যাচ আরও ক্লোজ হত।
পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডিকক ও ত্রিস্তান স্টাবস ভরসা দিচ্ছিলেন। স্ট্রাইকরেট যদিও ৮০-র ঘরে। দু-অঙ্কের রানে পৌঁছনো প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে সকলেরই স্ট্রাইক রেট ৮০-র নিচে। বুধবার এই মাঠেই ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। রবিবার ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচেও এমন পিচ থাকলে! টি-টোয়েন্টির আনন্দটাই পাওয়া যাবে না।