চাকরির দাবিতে মহানগরের রাজপথে ৯ সংগঠন

সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ফের চাকরির দাবিতে সংঘবদ্ধ হয়ে পথে চাকরি প্রার্থীদের ৯টি সংগঠন। এদের  মধ্যে রয়েছে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, নার্সদের সংগঠন সহ অন্যান্যরা। এ দিন শিয়ালদহ থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত এই মিছিল করার অনুমতিও দেওয়াও হয় আদালতের তরফ থেকে। তবে এদিনের এই আন্দোলনে সামিল হয়নি দুই সংগঠন। এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা’র তরফে সোমবারের মিছিল-সহ সরকার বিরোধী কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ হিসেবে এই সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, তাঁদের সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পাাশাপাশি তাঁরা এও জানান, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তাই তাঁরা সরকারি বিরোধী কোনও কর্মসূচিতে বা কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে নারাজ। অন‌্যদিকে, এসএসসি মারফত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের ‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চ’ও সামিল হয়নি এদিনের মহামিছিলে।

এদিন শিয়ালদহ স্টেশনের কাছ থেকে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে শুরু হয় স্লোগান। এরপর তাঁরা এগোতে থাকেন ওয়াই চ্যানেলের দিকে। এদিন আন্দোলনকারীদের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় সমাজকর্মী মীরাতুন নাহারকেও। এ মিছিলে নজরে এল নানা ধরনের স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। এরই মধ্যে রুটির উপর এক চাকরি প্রার্থী ‘চাকরি চাই’ বলে লিখেছেন এক চাকরিপ্রার্থী। । এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা ২০১৪ সালে প্রাথমিকে পাশ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন আমাদের সবাইকে নিয়োগ দেবেন। তবে রুটি-রুজি উনি কেড়ে নিয়েছেন। সেই কারণে রুটির উপর চাকরি চাই লিখেছি।’ এরই পাশপাশি কীতর্ন করতে দেখা যায় কয়েকজন চাকরি প্রর্থীকে। তাঁদের দাবি, হরিনামের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের আর্তনাদ তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। এদিনের যাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁদের সোজাসাপ্টা প্রশ্ন, ‘আমরা নবম থেকে দশম চাকরির প্রার্থীরা ৬৪৫ দিন ধরে বিক্ষোভ করছি। সরকার যখন এত মানবিক তাহলে নিয়োগ দিচ্ছে না কেন? কতদিন বসে থাকব রাস্তায়?’ তবে সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে কোনও সরকার নেই। এখানে রয়েছে এক দলীয় শাসকদল। তাদের বিরোধীতা করার মতো কেউ নেই। আর বিরোধী দলগুলির সংঘবদ্ধ হওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই কারণে এই সুযোগককে কাজে লাগিয়ে তারা মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে বঞ্চিত যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে আমি হাঁটব।’

এদিকে এদিনের এই মিছিল সম্পর্কে কলকাতাবাসীর একাংশের বক্তব্য, এত বড় জমায়েত সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য লড়ছেন এঁরা। এঁদের দাবিও ন্যায্য। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা উচিত। তবে এদিন এই মিছিল সামলাতে পথে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশও। ছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরাও।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =