মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জারি হল প্রিভিলেজ নোটিস। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে শুক্রবার এই স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হয়। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনেন শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমের সামনে আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বারের জন্য বিধানসভায় মুকুল-মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বারও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। কোনও দলবদল করেননি। এই বিষয়ে নিজের আগের রায়ই বহাল রেখেছেন স্পিকার। সেই বিষয়েই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খোঁচা দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আবারও হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার অধ্যক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে সমস্ত নথি জমা পড়েছে, তাতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। যদিও বিজেপির থেকে বক্তব্য ছিল, তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে বেশ কিছু ছবি ও নথিপত্রও জমা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষের বক্তব্য ছিল, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। বৈদ্যুতিন প্রমাণগুলিও দেখেছি। কিন্তু মামলাকারী, জমা করা প্রমাণগুলির যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে আমি আগের রায়ই বহাল রাখছি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় প্রসঙ্গে ১৫ জুন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এমন খেয়েছেন যে গলার কাছে আটকে আছে। না গিলতে পারছেন, না উগড়াতে পারছেন। এরকম খেতে নেই। শুভেন্দু বাবুর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন পার্থ ভৌমিক। গত এক বছরে এ নিয়ে তিনবার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। রাজ্য রাজনীতির বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, একজন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এক বছরের মধ্যে এতগুলি স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা পড়েনি।