মালদায় সরকারি বাসের আদলে বেসরকারি বাসগুলির রং করায় যাত্রীদের মধ্যে তুমুল বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। একবারে হুবহু সরকারি বাসের মতো নীল সাদা রঙে রূপ দেওয়া হয়েছে মালদার বেসরকারি বাসগুলির। অধিকাংশ বাসের এই রং বদলের জন্য রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, একই রং হওয়ার কারণে কোনটা সরকারি, আর কোনটা বেসরকারি বাস কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সরকারি বাসের পরিষেবা বেসরকারি থেকে অনেকটাই ভালো। কারণ সরকারি বাস যেখানে সেখানে সহজেই দাঁড়ায় না। তাছাড়াও সরকারি বাসে যাতায়াতে অনেক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু যেভাবে বেসরকারি অধিকাংশ বাসগুলি হুবহু রং করা হচ্ছে, তাতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মালদায় রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাস। সরকারি এই বাস টার্মিনাসের পাশেই রয়েছে বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড । কিন্তু একই রং হওয়ার কারণে যাত্রীরা পড়ে গিয়েছেন চরম মুশকিলে। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ সরকারি বাস ভেবে বেসরকারি বাসে চেপে বসছেন। বাস কিছুটা যাওয়ার পর যাত্রীদের ভুল ভাঙছে।
যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি বাসের বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসের রং নকল করে বেসরকারি বাসে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাসে লেখা হচ্ছে এনবিটিসি। যেটা দেখে অনেক যাত্রীরা সরকারি বাস ভেবে ফেলছেন। যাত্রীরা বলছেন, বেসরকারি বাস তাদের কালারের মতো হোক সরকারি বাস সরকারি কালারের মত হোক।
এদিকে পরিবহণ কর্মীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আজকে যা হয়েছে তাতে আমাদের সরকারি গাড়ির রং করতে হচ্ছে। কারণ এই রঙ দেখলে আমরা স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে পারি এবং পুলিশও আমাদের কিছু বলে না। সরকারি গাড়িগুলি সমস্ত লোকাল স্টপেজ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। রং যে কেউ করতে পারে। আমাদের বেসরকারি বাসে যে যেমন পারছে নীল, সাদা বা অন্য রং করছে। সরকারি বাসের রং অন্যান্যরা নকল করছি এটা সঠিক কথা নয়।
ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, মানুষকে বিভ্রান্তি করা হচ্ছে। সরকারি বাসের রং কখনোই বেসরকারি বাসে করা যায় না। কেন এটা করা হল এই বিষয়ে আরটিও দপ্তর তদন্ত করুক। অবিলম্বে বেসরকারি বাসের রং গুলিবাদ দেওয়া হোক।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, সরকারি বাসের আদলে বেসরকারি বাস রং করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সরকারি আইনকে মানতে হবে। সরকারি আইনকে যদি কেউ না মানে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।