বুধবার লোকসভা-রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জবাবি ভাষণের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলে দেন, রানি সোনিয়া গান্ধি এবং কমান্ডার রাহুল গান্ধি রাজ্যসভায় আজ অনুপস্থিত। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে নিজের যাবতীয় বক্তব্য পেশ করছেন খাড়গে। রাহুল গান্ধির অনুপস্থিতিকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি মোদি।
এদিন নিজের ভাষণের শুরুতেই মোদি বলেন, ‘আগের বলা হয়নি। আমি আগের দিন খাড়গেজির কথা খুব মন দিয়ে শুনছিলাম। উনি তো সাধারণত এতকিছু বলার সুযোগ পান না। তবে এখন রানি ও কমান্ডার নেই। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন তিনি।’ এর পরই যোগ করেন, ‘আজ একটা গানের কথা খুব মনে পড়ছে। এয়সা মউকা ফির কাঁহা মিলেগা।’
এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকেও নজিরবিহীন ভাবে কটাক্ষ করেন মোদি। বলেন, ‘একজন তো অন্য কোথায় একটা আছে। তাই আগের দিন বিনোদন কম হচ্ছিল। তবে খাড়গেজিই সেই বিনোদনের শূন্যস্থান পূরণ করছিলেন।’ পাশাপাশি প্রাদেশিকতা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করার ডাক দিয়েছিলেন কর্নাটকের কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ। নাম না করে এদিন সেই প্রাদেশিকতাকে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রশ্ন, ‘এবার উত্তর থেকে দক্ষিণকে আলাদা করার চেষ্টা করছে?’
এদিন এই জাতপাতের রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘আজকাল দেশে ফের জাত-পাত নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কেন তারা এই সব কথা তুলছে জানি না। যাইহোক, দলিত, আদিবাসী এবং অনগ্রসর শ্রেণি – জন্মলগ্ন থেকেই কংগ্রেস এই তিন জাতির সবথেকে বড় বিরোধী। মাঝে মাঝে তো আমার মনে হয়, বাবাসাহেব আম্বেদকর না থাকলে, এসসি-এসটি সংরক্ষণ হত কিনা কে জানে?’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা প্রতিবাদ জানালে, মোদি বলেন, তাঁর কাছে এর প্রমাণ আছে। তিনি জানান, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, কংগ্রেস কখনই ওবিসিদের সম্পূর্ণ সংরক্ষণ দেয়নি। তাই তাদের সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলার অধিকারই নেই।