মানুষকে যাঁরা লুঠ করবেন ভেবেছেন, কোনওভাবেই তাঁরা পার পাবেন না। শনিবার তেলঙ্গানায় কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণের চার রাজ্য কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ সফরে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর পর শনিবার তেলঙ্গনায় যান তিনি। সেখানেই নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি তেলঙ্গানার মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই গরিব মানুষকে যাঁরা লুঠ করছেন, তাঁরা কোনওভাবেই ছাড় পাবেন না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বুঝে কিছু মানুষ জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। দুর্নীতির জোট করার চেষ্টা করছেন। তবে তেলঙ্গানা ও গোটা দেশের মানুষ সেদিকে নজর রাখছেন।’
তেলঙ্গানায় দলীয় কর্মসূচিতে মোদি বলেন, ‘আমি কখনও ক্লান্ত হই না। কারণ আমি প্রতি দিন ২-৩ কিলোগ্রাম গালি খাই। কিন্তু আমার প্রতি ভগবানের এমন আশীর্বাদ, যে এটি (গালি) আমার ভিতরে গিয়ে পুষ্টিতে রূপান্তরিত হয়।’ এর পরেই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা, ‘আমাকে বা বিজেপিকে অসম্মান করলেও তেলঙ্গানার মানুষকে অসম্মান করবেন না। চড়া মূল্য দিতে হবে।’
কেসিআরের রাজ্যে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের তিন প্রকল্পের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘জন ধন, আধার ও মোবাইল এই ত্রিশক্তিকে সামনে রেখে আমরা বহু ভুয়ো উপভোক্তার নাম বাদ দিতে সক্ষম হয়েছি। যাঁরা গরিব, সরাসরি তাঁরা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছেন। আগে তো গরিবদের নামে টাকা ও রেশন মানে ছিল গরিবদের লুঠ করা।’
তেলেঙ্গনার মানুষ যে দলকে ভরসা করেছিল, তারা মানুষের ভরসার দাম রাখতে পারেনি বলেও এদিন মন্তব্য করেন মোদি। একইসঙ্গে, তেলঙ্গানা সরকার কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, চাপান-উতোরে রাজনীতিতে হাতিয়ার করতে গিয়ে উন্নয়নকে উপেক্ষা করছেন কেসিআর।