কার্গিলে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বিশেষ বার্তা

প্রত্যেক বছরই দীপাবলি একটু অন্যরকমভাবে কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দেশের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির দিনটি কাটাতে কার্গিল সীমান্তে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সৈনিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বললেন, সেনাবাহিনী যেভাবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখছে, ঠিক সেইভাবেই দেশ থেকে সন্ত্রাস আর দুর্নীতি দমন করতে কাজ করছে সরকার। কার্গিলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনের ফাঁকে তাঁর মুখে উঠে এল আত্মনির্ভর ভারতের কথাও। শত্রুকে চমকে দিতে দেশেই অস্ত্র তৈরির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে সৈনিকদের সঙ্গে বন্দে মাতরম গানে গলা মিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিবছরই সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) পালন করেন মোদি। সোমবার সকালে কার্গিল পৌঁছে সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ভারতের শৌর্য্যের প্রতীক হল সেনা। সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী। দীপাবলি আসলে সন্ত্রাসের অন্ধকারকে হারিয়ে আলো জ্বালানোর উৎসব। সেই উৎসবকে সফল করে তুলেছে কার্গিল (Kargil)।’ প্রধানমন্ত্রী আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সীমানায় দাঁড়িয়ে থেকে দেশকে রক্ষা করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা, সেই জন্যই শান্তিতে ঘুমতে পারেন দেশবাসীরা। সেনা জওয়ানদের নিজের পরিবার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দীপাবলির আসল মিষ্টত্ব হল আপনাদের মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ। বহু দিন আগেই আমি বলেছি, আপনারাই আমার পরিবার…আপনাদের মাঝে সময় কাটাতে পারা সৌভাগ্য়ের বিষয়। এমনকী যুদ্ধ বিধস্ত ইউক্রেনেও ভারতীয় পতাকা সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য বর্ম হয়ে উঠেছিল।’

দুর্নীতি আর সন্ত্রাস দমনের কথাও উঠে এসেছে মোদির মুখে। সীমান্তে সেনার সংগ্রামের সঙ্গে দেশের অন্দরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তুলনা টেনে এনেছেন তিনি। ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেছেন, ‘যেভাবে আপনারা গোটা দেশকে সুরক্ষিত রাখছেন, সেইভাবেই আমরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ, নক্সালবাদ, দুর্নীতি- এগুলো গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন সমাজের বুক থেকে এই অন্ধকার বিষয়গুলো অনেকটাই দূর হয়ে গিয়েছে।’

মোদির মুখে উঠে এসেছে আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গও। ইতিমধ্যেই দেশের মাটিতে অস্ত্র বানাতে শুরু করেছে ভারতের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে মোদি বলেছেন, ‘তিন বাহিনীকে সাধুবাদ জানাই কারণ তাঁরা প্রায় ৪০০ রকমের অস্ত্র দেশের মাটিতেই বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন নিজের দেশে তৈরি হওয়া অস্ত্র নিয়ে জওয়ানরা লড়াই করতে যাবেন, তখন গর্বে তাঁদের বুক ফুলে উঠবে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের অস্ত্র কীভাবে তৈরি হয়েছে সেটা শত্রুপক্ষ জানতে পারবে না। ফলে তাদের পরাস্ত করাও অনেক সহজ হবে।’ দেশের সেনাবাহিনীতে মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন মোদি। মেয়েরা যোগ দিলে সেনার উন্নতি হবে, এমনটাই বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − seven =