অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সোমবার ইডির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। পরে রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই অভিযোগকে সমর্থন করেন। তার প্রেক্ষিতে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকও করলেন অভিনেত্রী।
তবে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা টলি অভিনেত্রী নুসরত জাহান ‘মিথ্যে তথ্য’ দিয়েছেন দাবি করে বিজেপি তাঁর গ্রেপ্তারির দাবি তুলল। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, নুসরতের মতো প্রভাবশালী অপরাধী যত বেশি সময় বাইরে থাকবেন ততই মামলাকে বিভ্রান্ত করার প্রক্রিয়া বাড়বে। তাই অবিলম্বে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া উচিত।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ সংস্থার নাম করে শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে তুলেছে বিজেপি। বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নুসরত বলেছেন, ‘কোম্পানি আমাকে লোন দিয়েছিল। আমি সেটা ইন্টারেস্ট সমেত ফেরতও দিয়ে দিয়েছি। আমি ৩০০% বলছি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমি নেই।’ কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আদালত দু’বার সমন দিয়েছিল, উনি হাজিরা দেননি কেন? সংস্থা থেকে পদত্যাগ করা মানেই কি সমস্ত দায় এড়িয়ে ফেলা যায়? এটা পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। কোম্পানির ডিরেক্টর পদে থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন নুসরত জাহান। আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে।’
প্রতারণার অভিযোগ ওঠার দেড় দিন পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন নুসরত। সেই বৈঠক আধ ঘণ্টাও গড়াল না। ১০ মিনিটের মধ্যেই নিজের কথা বলে, প্রায় সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাব চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি কোনও ব্যাখ্যা দিতে আসেননি, কারণ ব্যাখ্যা তাঁরাই দেয়, যাঁরা ভুল করে এবং ভয় পায়।