রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পরে পশ্চিবঙ্গে সোমবার প্রথমবার এলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠ পরিদর্শনে আসন রাষ্ট্রপতি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠে পৌঁছানোর পর গোটা বেলুড় মঠ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মঠের ভিতরে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির সহ স্বামীজি ও ব্রহ্মান্দজীর মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। মূলত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দর্শনেই বেলুড় মঠে আসা তাঁর, বলেই বেলুড় মঠ সূত্রে। বেলুড় মঠ সূত্রে এ খবরও মেলে যে, এদিন বেলুড় মঠে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। এছাড়াও তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মঠের সহ সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ। বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ বই, শাল ও শাড়ি উপহার দেওয়া হয় বেলুড় মঠের তরফ থেকে। রাষ্ট্রপতি পরিদর্শনের জন্য বেলুড় মঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আটসাঁটো। মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাওড়া সিটি পুলিশের নগরপাল সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা সরেজমিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফরে তাঁর সঙ্গে মঠে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও অরূপ রায়। এছাড়াও বেলুড় মঠে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য ও হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি। বেলুড় মঠ এবং কলকাতায় ইউকো ব্যাঙ্কের ৮০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর হেলি কপ্টারে বেলা ১২টা নাগাদ বীরভূমের শান্তিনিকেতনে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজের পর আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর দুদিনের সফর শেষে দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার বিকেলেই যাত্রা করেন।