আগামী ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধীদল। কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা, আপ-সহ ১৯টি বিরোধীদল বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, সংসদ থেকে গণতন্ত্রের আত্মাকে শুষে নেওয়া হয়েছে। তাই নতুন ভবনের কোনও অর্থ তাদের কাছে নেই।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে আগামী রবিবারের (২৮ মে) নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হল বিরোধীদের কাছে। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বুধবার বলেন, ‘কিছু বিরোধী দল নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কটের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। আশা করব, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে এবং কর্মসূচিতে যোগ দেবে।’
নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে ১৯টি বিরোধী দল যৌথ বিবৃতিতে লিখেছে, ‘সংসদ থেকে গণতন্ত্রের আত্মাকে শুষে নেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের কোনও অর্থ আমাদের কাছে নেই। এই পরিস্থিতিতে আমরা যৌথ ভাবে ঘোষণা করছি, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কট করছি।’ পাশাপাশি লেখা হয়েছে, ‘সর্ব ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। এবং এই বার্তা আমরা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’
বিরোধীদের অভিযোগ, মহাত্মা গান্ধি, নেতাজি, জওহরলাল নেহরুর জন্মদিবসকে উপেক্ষা করে সাভারকরের জন্মদিনকে সংসদ ভবনের উদ্বোধনের জন্য বেছে নিয়ে হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিতে চাইছেন মোদি।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংসদের অভিভাবক হলেন রাষ্ট্রপতি। কারণ, সংবিধানের ৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ রাষ্ট্রপতি, লোকসভা এবং রাজ্যসভা নিয়ে গঠিত। তাই তাঁরই উচিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা। কিন্তু, রবিবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার ব্যাখ্যা হিসাবে বলা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই সব কৃতিত্ব নিতে উদ্যোগী হয়েছেন।