হালকা খাবার খেয়েই প্রচারের ঝড় তুলছেন প্রসূন ব্যানার্জি, কী থাকছে মেনুতে?

দলের কর্মীদের বাড়িতে গিয়েই সাদামাটা খাবার খেয়েই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। কখনো জুটছে কলাইয়ের ডাল, ভাত, বেগুন ভাজা। আবার কখনো আলু ভর্তা, মুসুরির ডাল সিদ্ধ, গরম ভাত। সঙ্গে রাখছেন গ্লুকোজ মেশানো পানীয় জলের বোতল। লোকসভার নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই এরকম সাদামাটা খাবার খেয়েই ভোট প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রচণ্ড দাবদহের মধ্যে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিটিং, মিছিল, কর্মী বৈঠক এবং নির্বাচনী সভা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। তারমধ্যে শরীরকে ঠিক রাখতেই হালকা এবং পেট ঠান্ডা করা খাবারেই মনকে মানিয়ে রাখছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী।
যদিও পিছিয়ে নেই উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। ফলের রস থেকে শুরু করে টক দই, মুড়ি, শসা আবার কখনো আলু সিদ্ধ, ভাত, সবজি এরকম খাবার খেয়েই নির্বাচনী প্রচার করে চলেছেন সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। যদিও উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলমও এই গরমের মধ্যে নিজের শরীর ঠিক রাখতেই বুঝে শুনে খাবার খাচ্ছেন। তিন প্রার্থীর এমন খাবার মেনু নিয়েও চায়ের আড্ডা থেকে পাড়ার ক্লাবের চলছে জোর আলোচনা।

বুধবার উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি গাজোল ও রতুয়া বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সারেন। সকালে লাল চা দিয়ে শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারের প্রথম অধ্যায়। সামান্য বেলা গড়াতে হালকা মুড়ি ভিজে জল, তরমুজ-সহ বেশ কিছু ফল খান। এরপরই দুপুরেই দলের এক কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। দুপুরের খাওয়ারে ছিল কলাইয়ের ডাল, ঝরঝরে ভাত, বেগুন ভাজা, পাঁচমিশালী তরকারি এবং টক দই। এই গরমের মধ্যেই আমিষ জাতীয় খাবার থেকেই মূলত দূরে থাকার চেষ্টা করছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। শরীরকে হালকা এবং তরতাজা রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। তীব্র তাপদাহের মধ্যে কখনো পায়ে হেঁটে , আবার কখনো হুডখোলা জিপে একটানা নির্বাচনী প্রচারে সামিল হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। এই কাজের ফাঁকেই হালকা খাওয়ারই তার কাছে এখন প্রিয় বলে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। রাতের খাওয়ারেও থাকছে দুটো রুটি, সিদ্ধ ডাল আর একটা সবজি।

উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গাজোল, হবিবপুর, পুরাতন মালদা বিধানসভাগুলি আদিবাসী অধ্যুষিত। পাশাপাশি রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, মালতিপুর, রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্র। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে যেখানে যেমন খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন দলের কর্মীরা, তাই দিয়েই পেট ভরাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। তার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট এলাকার দলের একাংশ নেতা-নেত্রীরাও সেই খাবারই খাচ্ছেন।

উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি বলেন, যে পরিমাণ গরম পড়েছে, তাতে এই ধরনের হালকা খাবারই শরীরের পক্ষে ভালো। যদিও নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই দলের অধিকাংশ কর্মীরাই আবদার করছেন তাদের আয়োজন করা দুপুর অথবা রাতের ভোজনে সামিল হওয়ার জন্য। অবশ্যই দলের কর্মীদের সেই আবদার আমি মেনেই তাঁদের সঙ্গে খাবারের আয়োজনে সামিল হচ্ছি। বিভিন্ন এলাকার দলের কর্মীরা যেভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাশে থেকে নির্বাচনী প্রচারে কাজ করে চলেছেন, তাতে খুব ভালো লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সার্বিক উন্নয়ন দেখেই মানুষ তৃণমূলকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। এবারে এই কেন্দ্রের জয় নিয়ে একদম আশাবাদী রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =