লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হতেই, নানা সংস্থার তরফ থেকে সামনে এসেছে এক্সিট পোল। সমস্ত এক্সিট পোলেই বলা হয়েছে, তৃতীয়বারের জন্যও গেরুয়া ঝড় উঠতে চলেছে। সরকারে ফের আসতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। কিন্তু এই এক্সিট পোল দেখে ক্ষুব্ধ পিকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, সাধারণ মানুষ যেন ‘ভুয়ো সাংবাদিক’, ‘গলা ফাটানো রাজনৈতিক নেতা’ ও ‘স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ’দের কথা শুনতে নিজের সময় নষ্ট না করেন।
একইসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর এও লেখেন, ‘এরপরে যখন রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে কথা হবে, দয়া করে এই সমস্ত ভুয়ো সাংবাদিক, গলা ফাটানো রাজনৈতিক নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের কথা শুনতে সময় ব্যয় করবেন না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মেলে, এই দাবির প্রেক্ষিতেই সাংবাদিক পিকে-র ২০২২ সালের হিমাচল প্রদেশ ও তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এতেই বেজায় চটে যান প্রশান্ত কিশোর। দাবি করেন, কখনওই তিনি দাবি করেননি যে কংগ্রেস হিমাচলে হারবে। ভিডিয়ো প্রমাণ দেখাতে পারলে তিনি ভোটকুশলীর কাজ ছেড়ে দেবেন। ৪ জুন তার ভবিষ্যদ্বাণী মেলে কি না, তাও মিলিয়ে দেখার চ্যালেঞ্জ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ ৪০০ পার করতে পারবে না। তবে তাদের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভাল হবে। পিকে-র দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের মতোই বিজেপি ৩০০ আসনে বা তার সামান্য বেশি আসনে জয়লাভ করতে পারে। পশ্চিম ও উত্তর ভারতে কোনও তাৎপর্যপূর্ণ আসন বাড়ার সম্ভাবনা নেই।