ডার্বি মানেই আবেগ, উত্তেজনা। ডার্বি মানে বেপরোয়া, সবকিছু ভুলে প্রিয় দলকে সমর্থন করতে আসার তাগিদ। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান। ডার্বির আগে যুবভারতীর চিত্র দেখে মুগ্ধ হবে ফুটবল না দেখা কোনও মানুষও। যুবভারতীর ভিআইপি গেটের বাইরে চোখে পড়ল এক টুকরো দৃশ্য।
দমদমের প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী মোহনবাগানের অন্ধ সমর্থক। পেশায় চাকুরীজীবী। এক সপ্তাহ আগেই বাবাকে হারিয়েছেন, একমাস আগে মাকেও হারিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী এই মোহনবাগান সমর্থক বাবার পারলৌকিক ক্রিয়ার আগেই চলে এসেছেন ডার্বি দেখতে। ম্যাচ শুরুর আগে বললেন, দুই গোলে জিততে চান। এক গোল বাবা ও আরেক গোল মাকে উৎসর্গ করতে চান তিনি। এছাড়াও যুবভারতীতে বড় ম্যাচ দেখতে বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তান বিক্রমকে কাঁধে নিয়ে হাজির তার বাবা বিপ্লব ঘটক। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ম্যাচেও দেখা গিয়েছিল এই বাবা-ছেলে জুটিকে। ফুটবলের টানে আবারও যুবভারতীতে তারা।

