যৌন হেনস্থার অভিযোগে প্রজ্বলের ভাই সুরজ গ্রেপ্তার

বেঙ্গালুরু, ২৩ জুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগে হাসনের প্রাক্তন সাংসদ তথা জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস) নেতা প্রজ্বল রেভান্নার ভাই সুরজকে গ্রেপ্তার করল কর্নাটক পুলিশ। যৌন নিগ্রহের মিথ্যা মামলায় দলীয় কর্মীই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে শনিবারই অভিযোগ করেন। শনিবার হাসন জেলার হোলেনরাসিপুরা থানায় সুরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন জেডিএস দলেরই এক কর্মী। রবিবার সেই কর্মীর করা যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন সেক্স স্ক্যান্ডালে নাম জড়ানো জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার ভাই সুরজ রেভান্না। একাধিক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয় প্রজ্বলকে। এবার যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন তাঁর ভাই সুরজও।
যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা কর্নাটক বিধান পরিষদের জেডিএস সদস্য সুরজের দাবি, অভিযোগকারী ৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন তাঁর কাছে। সেই টাকা না দিত অস্বীকার করায় তাঁকে এই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। সুরজ নিজে জনতা দল সেকুলারের প্রথম সারির নেতা। শনিবারই সুরজের ঘনিষ্ঠ সহকারী শিবকুমার অভিযোগ করেছিলেন, জেডিএসের যুব শাখার কর্মী চেতন কেএস ও তাঁর শ্যালক সুরজকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। যৌন নিগ্রহের মিথ্যা মামলা দায়ের করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
চেতন কেএস নামের ওই দলীয় কর্মী প্রথমে সুরজের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, পরে দলের হয়ে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি চেতন সুরজের কাছে পারিবারিক খরচ হিসেবে প্রথমে পাঁচ ও পরে দুকোটি টাকা চান। কিন্তু সুরজ তা দিতে নারাজ হতেইz চেতন সুরজ রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করার হুমকি দেন বলে দাবি। যদিও চেতন সুরজ ঘনিষ্ঠদের এই দাবি অস্বীকার করে কর্নাটকের হাসনে একটি যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেন। চেতন অভিযোগে জানান, ১৬ জুন তিনি সুরজের ফার্ম হাউসে গেলে সুরজ তাঁকে উলঙ্গ করে যৌন হেনস্তা করেন। তাঁর পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। এমনকি মুখ বন্ধ রাখার জন্য সুরজই শিবকুমার মারফত তাঁকে প্রথমে দু’কোটি পরে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। রাজনৈতিক ভাবে উন্নতিরও প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর কাছে সব প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন চেতন।
প্রসঙ্গত, একাধিক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে প্রজ্বলকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন জেলবন্দি। এক নির্যাতিতাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় প্রজ্বল-সুরজের বাবা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী এইচডি রেভান্নাকেও। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + nine =