নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়নার ১ নম্বর ব্লকের নাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও, প্রধান হাজির না হওয়ায় বুধবারও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হল না বলে অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের ভিড় থাকায় ভয়ে প্রধান উপস্থিত হতে পারেননি পঞ্চায়েতে। অপরদিকে শাসকদলের কর্মীদের দাবি, হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয় এখানে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত মান্যতা পাবে।
পূর্ব বর্ধমানের রায়না এক নম্বর ব্লকের নাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের আসনটি এসটি সংরক্ষিত। পঞ্চায়েত ভোটে এই একটি সিটে এসটি প্রার্থী কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হন। বাকি আসন সবকটি তৃণমূল পেলেও, একটি মাত্র কংগ্রেস হওয়াতে প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় সমস্যায় পড়েন পঞ্চায়েত। এরপর হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীকেই প্রধান করতে হবে। কারণ আর কোনও এসটি মহিলা প্রার্থী ওই পঞ্চায়েতে জয়ী হননি।
সেইমতো বুধবার ছিল প্রধান পদে শপথ গ্রহণ করার দিন। সেই কারণে নাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করেছিল প্রশাসন। ত্ব সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও কংগ্রেস প্রার্থীর দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। সেই কারণে বুধবারও নাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি। টেলিফোনে কংগ্রেসের প্রার্থী জানান, বিশেষ কারণে তিনি পঞ্চায়েতে যেতে পারেননি।
রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বামদেব মণ্ডল জানান, হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই দল মান্যতা দেবে। ওনার ভয়ের কোনও বিষয় নেই। উনি কেন এলেন না, সেটা তিনিই বলতে পারবেন। এখন দেখার ওই কংগ্রেস প্রার্থী কি প্রধান হবেন না তিনি দল বদল করবেন।