কলকাতা: পারিবারিক অশান্তির জেরে বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল খোদ কলকাতায়। তালতলা এলাকার এক বধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির দুই সদস্যকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার শ্বশুর বাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয় তালতলা থানায়।
নিখাত পারভিন নামে ওই গৃহবধূর বাপেরবাড়ির দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এফআইরে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন, মুনিরা বেগম, মহম্মদ আলাউদ্দিন, মহম্মদ সিরাজউদ্দিন ও মুসারত বেগম। এর মধ্যে মহম্মদ আলাউদ্দিন ও মহম্মদ সিরাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁরা সম্পর্কে নিখাতের কাকা শ্বশুর বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় থাকা মুনিরা বেগম গৃহবধূর শাশুড়ি।গৃহবধূ এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে ১০ জুলাই অর্থাৎ রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। ওই মহিলার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই ইস্যুতে অশান্তি চলছিল বলে জানা গিয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সেই অশান্তি এতটাই চরমে পৌঁছয় যে, গৃহবধূকে মারতে উদ্যত হয় পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গৃহবধূর বয়ানও নেওয়া হয়েছে। এখনও চলছে ঘটনার তদন্ত।