নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত, নরক যন্ত্রণায় ভুগছে এলাকার মানুষজন। শুরু রাস্তা নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা। তবে রাস্তা তৈরির আশ্বাস মিলেছে প্রশাসনের তরফে।
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের গড়েরডাঙা থেকে টাসুলি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার একেবারেই বেহাল অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয় এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে কৃষক এবং মুমূর্ষ রোগীদের, ফলে নরক যন্ত্রণার শিকারে পড়েন এলাকার সকল স্তরের মানুষজন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের যাতায়াত। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত তার ওপর হাঁটু পর্যন্ত জল। গর্ত এবং জলকে উপেক্ষা করেই নিত্যদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে অবিলম্বে তাঁদের এই কঙ্কালসার রাস্তা যাতে মেরামত হয়। কারণ এই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে ৭ থেকে ৮টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষজন।
বেহাল রাস্তা নিয়ে শাসক-বিরোধী একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত বলে অভিযোগ। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, ‘ওই রাস্তাটার ওপরেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের বাড়ি। বিধায়কের দায়বর্তায় রাস্তা মেরামত করে দেওয়া, তবে এবার দেখি রাজ্য সরকারের প্রয়োজন পড়ে কিনা, বিধায়ক সাহেব রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করুন রাস্তা করে দেওয়ার।’
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূলের ১২ বছরে ৮ কিলোমিটার রাস্তা করতে পারেনি, এরপরেও তারা বলছে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ সমস্ত কিছু দখল করে রেখেছে। সাংসদ এবং বিধায়ক রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারেন না ওদের প্রশাসন সেটা ভালো করে জানে।’ পাত্রসায়ের ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নিবিড় মণ্ডল বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এলাকার মানুষ সুরাহা পাবে।’