নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: দলের মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে খোদ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায়। সোমবার সকাল থেকে বাঁকুড়া-২ ব্লক এলাকার বিকনা, কেশিয়াকোল, মিথিলা এলাকায় ওই পোস্টার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাদা ফুলস্কেপ কাগজের ওপর কালো কালিকাতে ছাপার অক্ষরে ওই পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বাঁকুড়া-২ (ওন্দা ৪) নং মণ্ডল সভাপতিকে মণ্ডলে কোনও আলোচনা ছাড়াই রাতারাতি বদলে ফেলা হল কার স্বার্থে? জবাব দিন’, এছাড়াও ‘বর্তমান মাতাল মণ্ডল সভাপতি ২০১৮ তে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী না দেওয়ার জন্য একটি আইসিডিএস চাকরি পুরস্কার পায়, সেটা বিল্লেশ্বর সিনহা আপনি জানেন তো?’ এর পাশাপাশি ‘বিল্লেশ্বর হটাও বিষ্ণুপুর বাঁচাও’ ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই পোস্টারে বিল্লেশ্বর সিনহা মাসে দু’বার কাকে নিয়ে দিঘা যান’ সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে। যদিও রাতের অন্ধকারে কে বা কারা নামবিহীন পোস্টার লাগাল বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারও কাছেই।
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি বিজেপির তরফে ওন্দা-৪ মণ্ডলের সভাপতি পরিবর্তন করা হয়। নিত্যানন্দ প্রতিহারকে সরিয়ে তুষারকান্তি সিংহকে ওই পদে বসানো হয়। আর তারপরেই এই পোস্টার ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই সুযোগে তাঁদের অন্যতম বিরোধী বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূল। দলের বাঁকুড়া-২ ব্লক সভাপতি বিধান সিং বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই স্পষ্ট, মানুষ ওঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই দলে গ্রহণযোগ্য কোনও মুখ নেই।’ বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে যত কম বলা যায়, ততই ভালো বলে তিনি দাবি করেন।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে হেরে হীনমন্যতায় ভুগছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তারাই এই পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। আগামী লোকসভা ভোটে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।’ তবে মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কেউ কোন অভিযোগ করেনি বলে তিনি দাবি করেন। যদিও দলের জেলা সভাপতির উলটো পথে হেঁটে বিজেপির ওন্দা মণ্ডল-৪ এর নবনিযুক্ত সভাপতি তুষার কান্তি সিংহ বলেন, ‘বিষয়টি বিচার বিবেচনা না করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব না।’