নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: আকাশে বাতাসে আগমনীর সুর, দিন কয়েক বাদ মণ্ডপে মণ্ডপে আসতে চলেছেন দেবী দশভুজা। বেশিরভাগ ঠাকুরদালানগুলোতেই মায়ের মূর্তিতে মাটির প্রলেপ সহ রঙের কাজ প্রায় শেষ। এবার পালা অপরূপ ডাক সজ্জায় মাকে সাজিয়ে তোলার। দেবীর মূর্তির সৌ¨র্য বৃদ্ধির জন্য ডাক একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ডাকই মৃন্ময়ী মাকে এক অপরূপ শোভা প্রদান করে থাকে। কিন্তু শারদীয়ার প্রাক্কালে একেবারেই মন ভালো নেই মায়ের ডাক প্রস্তুতকারীদের। এর কারণ একটাই বর্তমান বাজারে ডাকের চাহিদা থাকলেও জোগান দিতে ব্যথর্, কেননা বর্তমান বাজারে ডাক তৈরির সামগ্রী দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় দাম মিলছে না শিল্পীদের। এর ফলে বছরভর ডাক প্রস্তুত করে জীবিকা নির্বাহকারী এই মানুষগুলোর যেন শিল্প সৃষ্টির মনোবলটা অনেকটাই ভেঙে পড়ছে।
বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামের এই মালাকার পাড়ার প্রায় ২০টি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের দাবি, ভোটের পূর্বে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা তাঁদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়ে গেলেও সেই আশ্বাস এখনও অবধি আশ্বাস হয়েই রয়ে গিয়েছে। কোনও সরকারি অনুদান মেলেনি তাঁদের, মিললে এই শিল্পকে একটা অন্যস্তরে নিয়ে যাওয়া যেত বলেই জানাচ্ছেন শিল্পীরা। পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই কাজে এলেও বর্তমান বাজার তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে।
কী হবে এতগুলো পরিবারের যারা বছরভর নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে মা দুর্গা সহ অন্যান্য দেব দেবীর ডাক সরবরাহ করেন। সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। পরেও কি মিলবে কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা নাকি তিমিরেই রয়ে যাবে তাঁদের এই সমস্যা।