মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে জটিলতার সম্ভাবনা, টাকা ‘নয়-ছয়’ নিয়ে মৎস্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন শুভেন্দু

এবার মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে জটিলতার সম্ভাবনা তৈরি হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এক বক্তব্যকে ঘিরে। রবিবার বিজেপির কার্যাকরিনী বৈঠক থেকে তিনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কৃতিত্ব নিচ্ছে রাজ্য সরকার’ এই অভিযোগে সোমবারই কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালাকে একটি চিঠি দিতে চলেছেন। এরই পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশংসা করতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের ক্ষেত্রে। বলেন, ‘গিরিরাজ সিংয়ের জন্য হাততালি। চুরির টাকা কীভাবে বন্ধ করতে হয় তিনি জানেন। বাকি মন্ত্রকগুলোরও এমন করা উচিত।’এরই পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম যে বদল করা হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে সেই ইস্যুকে সামনে এনে শুভেন্দু বলেন, ‘কেন্দ্রের জল জীবন মিশনের নাম বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জল স্বপ্ন’ নাম করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে না। থাকে শুধু স্টিকারে বসানো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং দেখিয়েছেন এই নাম বদল কীভাবে আটকাতে হয়। নাম বদল হলে টাকা নয়।’
এর পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশ্বাস, ‘মৎস্যজীবীদের নিয়ে যথেষ্টই চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ‘মৎস্য যোজনার’ নাম বদল করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা হয়েছে ‘বঙ্গ মৎস্য যোজনা’। এই ঘটনা জানিয়ে এই মন্ত্রকের মন্ত্রীকে চিঠি লিখব, যাতে এবার এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ভাবা হয়। আমাদের বিধায়ক এবং সাংসদদেরও বলছি এ ব্যাপারে চিঠি দিতে।’
একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, মিড-ডে মিলে দুর্নীতি, কখনও আবার আবাস যোজনার ঘরে দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার সরব হতে দেখা গেছে বঙ্গ বিজেপিকে। এই সব ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছেন। যার জেরে বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকার বরাদ্দ। রবিবার ফের কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন শুভেন্দু। আবাস যোজনার দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যের তরফ থেকে প্রতি পরিবার টাকা পেয়েছে বলেছে। উল্টোদিকে টাকা লোপাট করা হয়েছে। আবাস যোজনাতে টাকা পাওয়ার পর বঞ্চিত বহু মানুষ। আমরা ‘প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা’ যোজনা দিচ্ছি। আগে এর নাম ছিল ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ’ যোজনা। বাজেটে অগ্রিম বরাদ্দ করেছে ২ লক্ষ কোটি টাকা। ৮১ লক্ষ মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি ২০১৫ -২০১৬ সালে চালু হয়। সেই নাম থাকার জন্য এই প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে দেয়নি মুখ্যমন্ত্রী। আমরা ৭৭ এ আটকে গিয়েছে। ১৪৮ হতে পারিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্যের প্রতি দরাজ। অনেক কিছু দিয়েছেন।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =