পেনাল্টি মিস্ করে কাঁদলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগালের সম্মান বাঁচালেন গোলকিপার দিয়োগো কোস্তা। টাইব্রেকারে তাঁর তিনটি সেভ কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দিল পর্তুগালকে। নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
পর্তুগাল নিজেদের মধ্যে একাধিক পাস খেলতে খেলতে আক্রমণে উঠলেও স্লোভেনিয়ার রক্ষণকে টলাতে পারেনি তারা। বক্সের কাছাকাছি গিয়ে থেমে যাচ্ছিল পর্তুগালের আক্রমণ। শুধু তাই নয়, পর্তুগালকে চিন্তায় ফেলে মাঝেমাঝেই প্রতি আক্রমণে উঠছিল তারা। রোনাল্ডোকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিলেন ডারকুসিচ। পর্তুগিজ অধিনায়ককে নড়তেই দিচ্ছিলেন না তিনি।
রোনাল্ডো নিজের এলাকার মধ্যে ফ্রিকিক পেয়েছিলেন। তাঁর শট ক্রসবারের এক ইঞ্চি উপর দিয়ে চলে যায়। গোলে থাকলে হয়তো গোলকিপারের কিছু করার থাকত না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও পর্তুগালের দাপট ছিল বেশি। তবে এ বার স্লোভেনিয়াও ছেড়ে কথা বলছিল না। পর্তুগাল এক বার আক্রমণে উঠলে পর মুহূর্তেই স্লোভেনিয়া উঠে যাচ্ছিল। খেলার শেষ দিকে দু’দলের খেলোয়াড়েরাই একাধিক আক্রমণ করলেও গোল আসেনি। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। জোটা বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ার পর তাঁকে আটকে দেন ডারকুসিচ। পেনাল্টি নিতে যান রোনাল্ডোই। উল্টো দিকে থাকা গোলকিপার আতলেতিকো মাদ্রিদে দীর্ঘ দিন খেলেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসে থাকার সময় রোনাল্ডোকে ভালই চিনতেন। রোনাল্ডোর শট তিনি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন।
১১৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচের সহজতম সুযোগ পেয়েছিল স্লোভেনিয়াই। পাস দিতে গিয়ে পেপের পা থেকে বল ফসকে যায়। সামনেই ছিলেন সেসকো। বল নিয়ে এগোতে থাকেন তিনি। সামনে একা পর্তুগালের গোলকিপার ছাড়া কেউ ছিলেন। দিয়োগো কোস্তা বাঁ পা দিয়ে সেই শট বাঁচিয়ে দেন।