রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান বা জলসার আয়োজন করার জন্য মাইক্রোফোনে সাউন্ড লিমিটার লাগানো বাধ্যতামূলক করেছে। এই মর্মে পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমারের জারি করা ও নির্দেশিকা বলা হয়েছে মাইক্রোফোনে সাউন্ড লিমিটেড ব্যবহার করার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ার পরেই উদ্যোক্তাদের এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হবে। নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তার ওপর নজরদারি চালাবে। নির্দেশ অমান্য করে সাউন্ড লিমিটেড ছাড়া মাইক্রোফোন বা বক্স ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।
রাজেশ কুমার বলেন, ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি পুলিশ কমিশনার, সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও থানার দায়িত্বে থাকা সমস্ত আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কালী পুজোর সময় এবং ছটে প্রায়ই অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘন করে মাইক্রোফোন বাজানো হয় বলে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে । বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে গিয়ে ডিজে বাজিয়ে ভাসানে যায় বিভিন্ন পুজো কমিটি । সে সবকে রুখতেই এই উদ্যোগ।
প্রতি বছরই দুর্গাপুজো কিংবা অন্যান্য উৎসবে শধবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় ডিজের তাণ্ডব চলে এবং সেখানে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনও পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, উৎসবে মানুষের উৎসাহে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয় না এবং তারা যে নির্দিষ্ট সীমা লঙ্ঘন করে মাইক বা বক্স বাজিয়ে যাচ্ছেন তাদের তা বোঝানো সম্ভব হয় না। কারণ সেই পরিকাঠামো সবসময় সব জায়গায় থাকে না। কিন্তু এ বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিক নির্দেশে পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এ ক্ষেত্রে যাঁরা খোলা মঞ্চে অনুষ্ঠান করছেন অর্থাৎ আয়োজকদেরই সাউন্ড লিমিটর সিস্টেম স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সিস্টেম থাকলে আয়োজকরাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা কতটা ভলিউমে মাইক বা বক্স বাজাচ্ছেন।