ডিএ আন্দোলনের নামে রাজনীতি হচ্ছে: কুণাল

কলকাতা: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ও একাধিক দাবিতে আ¨োলনে সামিল হয়েছে সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। যৌথ সংগ্রামী শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বিরোধীরাও পাশে দাঁড়িয়েছে আ¨োলনকারীদের। এই পরিস্থিতিতে ডিএ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘ডিএ অধিকার নয়, এটা অনুদান।’
ডিএ নিয়ে আ¨োলনকারীদের সমর্থনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এই আন্দোলনে। ডিএ দিতেই হবে। পেনশনার্স, বর্তমান কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে।’ ১০ মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বনধেরও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার মহাকরণে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করে।
তার প্রেক্ষিতেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে।’ তাঁর স্পষ্ট কথা, ডিএ অনুদান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলার প্রাপ্য বিপুল টাকা দিচ্ছে না, যাঁরা ডিএ চাইছেন তাঁরা কিন্তু এ বিষয়ে কোনও কথা বলছেন না। আন্দোলনটা যদিও দুটো মিলিয়ে হতো তাহলে একটা ভারসাম্য থাকত। এটা তো একটা রাজনীতি হচ্ছে।’ কুণালের দাবি যাঁরা ডিএ চাইছেন তাঁদের পরিবারেও একাধিক সরকারি প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। যাঁর খরচ বইছে সরকারই। সেগুলো মাথায় রেখে আন্দোলন করা উচিত বলে পরামর্শ কুণালের। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ডিএ চাইছেন তাঁরাও জানেন সীমিত ফান্ডে সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার চালাতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁরও হয়তো দেওয়ার ইচ্ছা আছে।’
এই বক্তব্য সামনে আসতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বনধের সমর্থনে এদিন শহরে দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। একটির ডাক দিয়েছিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। অন্যটির ডাক দিয়েছিল কলকাতা পুরনিগমের বাম ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রেডার্স ইউনিয়ন। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − six =