এক প্রৌঢ়কে রবিবার রাতে পিটিয়ে খুনের জেরে সোমবার পান্ডুয়ার বেড়েলা গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। মৃতের পরিজনদের তরফে পান্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির (TMC-BJP) মধ্যে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ, বিজেপির মিছিলে না যাওয়ার অপরাধ উঠেছিল গেরুয়া শিবিরের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ রায়। পেশায় দিনমজুর। স্টোরে আলু বাছাইয়ের কাজ করত। রবিবার বিজেপির তরফে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত একটি ধিক্কার মিছিল আয়োজন করা হয়। শীর্ষ নেতৃত্ব হিসেবে তাতে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেত্রী তথা হুগলি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই মিছিলে যাওয়ার জন্যই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।
মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, ধিক্কার মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কৃষ্ণকেও। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। তাই রাতে তাঁকে পাড়ার ক্লাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। মৃতের স্ত্রী ঝর্ণা রায় বলেন, ‘পাড়ার ক্লাবে কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কৃষ্ণর। মিছিলে না যাওয়া নিয়েই সেই বিতর্ক। তখনই তাকে মারধর করা হয়। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।’
এ দিকে, কৃষ্ণর মামা দুলাল রায় সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিকে। মিছিলে না যাওয়ার কারণেই কৃষ্ণকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ কোনও রাজনৈতিক দল করত না। তবুও তাকে জোর করে ডাকা হয়েছিল।