কৌস্তভের গ্রেপ্তারিতে পুলিশের অতি সক্রিয়তা! পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

কলকাতা: গত ৪ মার্চ ভোর রাতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় বড়তলা থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সকাল আটটা নাগাদ পুলিশ গ্রেপ্তার করে কংগ্রেসের নেতা তথা আইনজীবীকে। এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কৌস্তভ বাগচী। সেই মামলায় বুধবার বড়তলা থানার এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট।বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহ হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না।

হাই কোর্ট জানতে আগ্রহী, কীসের ভিত্তিতে কাকভোরে পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী।পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এবিষয়ে আরও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখতে হবে কেস ডায়েরিও। তারপরে পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। আদালত বলেছে, কৌস্তভের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে। অন্তত পাঁচজন কনস্টেবল দিতে হবে নিরাপত্তার জন্য।

প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা কৌস্তভ বাগচী দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের পাতা উল্টে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এতেই আগুনে যেন ঘি পরে। কৌস্তভ বাগচীর কথায়, মৌচাকে ঢিল মারার জন্যই তাঁর বাড়িতে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তবে কৌস্তভের গ্রেপ্তারি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও ভিন্ন মত শোনা গিয়েছিল। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, এভাবে পুলিশের অতি সক্রিয়তা দেখানো ঠিক হয়নি।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 17 =