বাগদা: বাগদা বাজিতপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে পুলিশ এলাকাবাসীর খণ্ডযুদ্ধে পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার। তবে পুলিশের ভূমিকায় কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার সহ স্থানীয়রা। বাগদা থানার বাজিতপুরে সোমবার রাতে বছর ৪৩ এর রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও তার কয়েকজন সঙ্গী ইছামতি নদীতে নৌকোয় ছিলেন সেই সময় বাজিৎপুরে ব্রিজের ওপরে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে নৌকো থেকে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ব্রিজের ওপরে উঠে আসে এবং সেখানেই কথা কাটাকাটি ও মারধর করা হয়। সেখান থেকে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বাজিতপুরে মন্দিরের পাশে অসুস্থ অবস্থায় পরেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠালে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত হয়েছেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসী-সহ মৃতের আত্মীয়-পরিজন। সেখানেই অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। একাধিক পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে ও পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রাতেই বনগাঁ সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ রাতভর এলাকায় টহলদারি দিলেও বুধবারও বাগদা থানার বনগাঁ দত্তপুলিয়া সড়কের বাজিতপুর বাজারে পোড়া টায়ার পরে থাকে যত্রতত্র। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ। যদি পুলিশ এবং জনতার খণ্ডযুদ্ধে চার পুলিশ কর্মী জখম হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করার অভিযোগে যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ধৃতরা হলেন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস (৩২), মহাদেব কর্মকার (৬২), সাধন ঘোষ (২৪), রবীন কর্মকার (৩৪)। ধৃতদের বাগদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার তোলা হল বনগাঁ আদালতে। পরিবারের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে খুন করা হয়েছে আর খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ তাই পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করছেনা এখনও। ঘটনার পর থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার সহ আত্মীয়-পরিজন। তবে মৃতের স্ত্রী একপ্রকার হুমকি সুরে জানান যদি পুলিশ দোষীদের ব্যবস্থা না করে তাহলে তিনি নিজেই আইন হাতে তুলে নেবেন। ধৃতদের বাগদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।