২৯ নভেম্বর শহিদ মিনারে সভা রয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২৯ ও ৩০ তারিখ আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন অবস্থায় ২৭ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আপার প্রাইমরি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে মৌখিকভাবে না করা হয়েছে ময়দান থানার পুলিশের তরফে। এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীরা শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান করার জেরে একটা সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছিল অভিষেকের সভা ঘিরে। কারণ, কীভাবে সভা হওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সেনাদের তরফ থেকে। তবে আন্দোলনকারীরা শনিবার তাঁদের অনশন তুলে নেওয়ায় যেটুকু সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অভিষেকের সভা ঘিরে এখন তাও আর নেই। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শহিদ মিনারে সভার অনুমতিতে আর সমস্যা নেই সেনার তরফ থেকে। এরই মধ্যে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের এক ধর্না চলছে শহিদ মিনারের অদূরেই। সূত্রে খবর, ময়দান থানার পুলিশের তরফ থেকে একটা অনুরোধ তথা মৌখিক নির্দেশ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পাঠানো হয়েছে আগামী ২৭,২৮, ২৯ ও ৩০ তারিখ ধরনায় না বসার জন্য। আগেও পুলিশের তরফে এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নায় যাতে না বসেন তার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল আগেও।
এদিকে সেনার তরফ থেকে সবুজ সংকেত মেলার পর শনিবারই পুলিশের পদস্থ কর্তারা সভাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যও গিয়েছিলেন সভাস্থল পরিদর্শনে। সভামঞ্চ কোথায় তৈরি হবে, কর্মী-সমর্থকদের জন্য কোথায় ব্যবস্থা করা হবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা করা হবে, সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখেন পুলিশের কর্তারা।