বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান পুলিশের

বৃহস্পতিবার  বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে চলল উচ্ছেদ। এদিন সকাল থেকেই রাস্তার দু’পাশে গজিয়ে ওঠা বেআইনি দোকানগুলিকে উচ্ছেদ করা হয়। আরএই ঘটনায় বিক্রেতাদের  অভিযোগ, কাজ চলাকালীন পুলিশের সামনেই চলে লাগাতার লুটপাট। এদিকে নির্বিকার দর্শকের ভূমিকায় রাজ্য পুলিশের কর্মী আর আধিকারিকেরা। স্থানীয় সূত্র এবং পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, মূলত, এয়ারপোর্টের দিক থেকে যে রাস্তাটি দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছে সেই রাস্তার দু’পাশে এদিনের উচ্ছেদ চলে। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপস্থিত রয়ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, দক্ষিণ দমদম পুরসভা, দমদম পুরসভা ও ন্যাশানাল হাইওয়ের সদস্যরা।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মালঞ্চ থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ। গোটা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস জুড়ে এই উচ্ছেদ হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কারণ, হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এই উচ্ছেদ। তৈরি করা হবে সার্ভিস রোড।

পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়,  রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল রাস্তার ধারে থাকা এই দোকানগুলি। যার জন্য সরকারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। এরপর আদালত থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ আসার পর তৎপর হয় পুলিশ। প্রথমে  এই উচ্ছেদের ব্যাপারে দেওয়া হয় নোটিশ। এমনকী করা হয় মাইকিংও। তা সত্ত্বেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন না ঘটায় শুরু হয় উচ্ছেদ। এদিকে এই উচ্ছেদের ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসের ধারে চলছিল তাঁদের ব্যবসা। হঠাৎ এই উচ্ছেদের নির্দেশের ফলে রুজি রুটি হারাবেন বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় এই দোকানদারেরা।

উল্লেখ্য, ২০২১ এর ১৭ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের জন্য সুকান্ত পল্লী এলাকা থেকে বেশ কিছু জায়গার দোকান সরানো হয়েছিল। সেই সময় রাজনৈতিক চাপে পড়ে বেশ কিছুটা বিলম্বিত হতে হয়েছিল।তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল কাজ। এরপর রাজনৈতিক জট কাটলে পুনরায় দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =