নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাn বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে সাক্ষী হিসাবে ডেকে হেনস্তার অভিযোগ। ওই মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এসডিপিওকে ভর্ৎসনা করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিজের বেতন থেকে ওই জরিমানার টাকা দিতে হবে বলেও জানান বিচারপতি। কৃষ্ণে¨ুর দায়েক করা একটি মামলায় এমনই নিদেশ দিলেন বিচারপতি।
যেভাবে মামলকারীকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে, তাঁর কাছ থেকে আয়করের হিসেব চাওয়া হয়েছে, তা পুলিশের উপযুক্ত কাজ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। চার বছরের পুরনো ওই মামলায় বিচারপতি বলেছেন, ‘এসডিপিও একজন চাকরের মতো কাজ করেছেন, নিজের অশোক চক্রের জন্য কাজ করেননি।’ পুলিশ আধিকারিককে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
২০১৭-১৮ সালে পল্লব দত্ত নামে কাঁথির এক বাসিন্দা অভিযোগ তোলেন, রাস্তার এলইডি লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। এরপর এফআইআর দায়ের হয় ও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলাকারী কৃষ্ণেন্দুর দাবি, মূল অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু চার বছর আগের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ, সাক্ষ্য দেওয়ার সময় শেষ ১০ বছরের আইটি রিটার্ন জমা দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। সাক্ষী হিসেবে ডেকে কেন আইটি রিটার্ন চাওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন কৃষ্ণেন্দু। আজ বুধবার ছিল মামলার শুনানি।
সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন সাক্ষী হিসেবে ডেকে কীভাবে আইটি রিটার্ন চাওয়া হল? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ায়ের মন্তব্য, একজন সাক্ষীকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। ‘পুলিশ কোনও নাগরিককে হয়রানির করার জন্য কাজ করে না’, নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আদালত অনুধাবন করতে ব্যর্থ যে কেন আইটি রিটার্ন দিতে হবে সাক্ষীকে। এটা স্পষ্ট যে প্রমাণের জন্য নয়, অন্য কোনও কারণে রিটার্ন চাওয়া হয়েছে। কিছু মেরুদণ্ডহীন পুলিশ প্রসাশনের কাজ।’ সেই সঙ্গে এগরার এসডিপিও অর্থাৎ মহকুমা পুলিশ আধিাকারিককে- পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন,তিনি একজন চাকরের মতো কাজ করেছেন। কৃষ্ণেন্দুকে দেওয়া নোটিস খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও নোটিস দেওয়া যাবে না। কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না তাঁর বিরুদ্ধে।