অপহরণের পর মুন্ডচ্ছেদ করে তৃণমূল কর্মীক খুন করেছিল। হরিশ্চন্দ্রপুরে মুন্ডুবিহীন মৃত তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল কাটা মুন্ডুর এখনো কোনো হদিস পেলে পায়নি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গত বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুরের কাতলামারী এলাকার মাখনা চাষের জলাজমি থেকে মুন্ডুবিহীন তৃণমূল কর্মী আধুুল বারিকের (৫০) দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে কাটা মুন্ডুর খোঁজ চালানোর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মৃত তৃণমূল কর্মীর মাথার অংশ এখনো খুঁজে পায়নি তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। শনিবার সকালে আবারও কাতলামারী এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বিকাশ হালদারের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীদের খোঁজ শুরু করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনীর একটি দল। সেখানে তন্নতন্ন করে মৃত তৃণমূল কর্মী আবদুল বারিকের মুন্ডুর খোঁজে তল্লাশি চালায়। পাশের আমবাগান ও এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তল্লাশি শেষে মুন্ডুর হদিস পাওয়া যায়নি। আবার খালি হাতে ফিরতে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ আধিকারিকদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়ে ওই এলাকায় হাজির হয় পুলিশ। কিন্তু তল্লাশি চালিয়ে আবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। তবে মুন্ডুর খোঁজে এলাকায় ধারাবাহিকভাবে তল্লাশি চালানো হবে বলে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের দাবি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তদন্তকারী অফিসার বিকাশ হালদার জানিয়েছেন, আমরা এলাকায় লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছি। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ চলছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি মুন্ডু উদ্ধার হয়ে যাবে। মৃত তৃণমূল কর্মী আধুল বারিকের ভাই সাহেব শেখ জানিয়েছেন, আমার দাদাকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমরা ফাঁসি চাই। আজকেও সকালে পুলিশ মুন্ডুর খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালায় কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারী এলাকার ওই তৃণমূল কর্মীকে ১১ দিন আগে অপহরণ করে। এরপর গত বুধবার ওই তৃণমূল কর্মীর মুন্ডুবিহীন দেহ পরিত্যক্ত একটি জলাশয়ের থেকে উদ্ধার হয়। আর গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।