পুলিশ কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের কোটি টাকার সম্পত্তি। এবার রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার নজরে কনস্টেবল মনোজিতের বিপুল সম্পত্তির নেপথ্যে শুধুমাত্র ‘তোলাবাজি’ না অন্য আরও কিছু। এদিকে অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হাওড়া গ্রামীণে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই সময়কালে তাঁর সম্পত্তির বৃদ্ধি নজর কাড়া। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বেতন বাবদ তাঁর বেতন বাবদ আয় ১০ লক্ষ টাকা, কিন্তু ওই সময় কালে ফিক্সড ডিপোজিট ৪০ লক্ষের বেশি৷ কী করে একজন বেতনভোগ কর্মীর এত দ্রুত এতটা টাকা বৃদ্ধি পেল তা এখন এসিবি-র স্ক্যানারের নিচে।
এই সূত্র ধরেই এসিবি-র তদন্তকারীরা খোঁজ চালাচ্ছেন, সেই সময়কালে তার বিরুদ্ধে কোনও তোলাবাজির অভিযোগ এসেছিল কী তা নিয়েও। শুধু তাই নয় মনোজিৎ বাগীশের সময় কালে তার সঙ্গে এই ধরণের কাজের সূত্র ধরে আর কোনও পুলিশ কর্মীরও সম্পত্তির বেলাগাম বৃদ্ধি হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে মনোজিতের সঙ্গে অন্য কোনও পুলিশ কর্মী যোগ রয়েছে কিনা তাও। এদিকে এসিবি সূত্রে এ খবরও মিলেছে, মনোজিৎ বাগীশের স্ত্রী ও অন্য কোনও ঘনিষ্ঠর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা সরেছে কি না তাও যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজিতের বাড়ি বারুইপুরে৷ তিনি রামপুরহাট থানায় কর্তব্যরত ছিলেন৷ আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন শাখা৷ এই ধৃত কনস্টেবলের মোট সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, জীবনবিমা, স্থায়ী বিনিয়োগের মতো একাধিক বিষয়৷ পুলিশে সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজিতের মোট ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান মিলেছে৷ এ ছাড়া মোট ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৯১ টাকার এলআইসি পলিসিও উদ্ধার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, দেখা গিয়েছে, তিনি বান্ধবীকে মোট ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন৷