নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: স্বভাব যায় না মলে। এটাই প্রবাদ বাক্যটিই যেন ফের প্রমাণ হয়ে গেল সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারির শিরীষবেড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ইসিএলের কর্মচারী রামলাগান চৌহানের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে চুরির অভিযোগের তদন্তে নেমে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে চোরের ছবি। সেই ছবি দেখে পরিষ্কার হয় চোর আর কেউ নয়, স্থানীয় ও বহু পরিচিত কূটরা। যাকে চুরির অপরাধে বহুবার ধরেছে পুলিশ। এলাকায় চোর হিসেবে পরিচিত। এমনকি, কিছুদিন ধরে কূটরাকে ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিল সালানপুর থানার রূপনারায়াণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। কূটরা ফাঁড়িতে টুকিটাকি কাজ করত বিনিময়ে পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে কিছু টাকাও পেত। তবে হঠাৎ আরও সক্রিয় চোরের ভূমিকায় দেখা গেল কূটরাকে। কূটরার আসল নাম সুমন দত্ত, জেমারি অঞ্চলেই তার বাড়ি। একেই বলে, স্বভাব যায় না মলে।
চুরি প্রসঙ্গে বাড়ির মালিক রামলাগান চৌহানের দাবি, বাড়িতে ছটপুজো ছিল। তাই পূজা শেষ হওয়ার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ায় তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে পাশেই নতুন বাড়িতে ঘুমানোর জন্য গিয়েছিলেন। সকালে উঠে দেখেন বাড়ির সমস্ত দরজাগুলি বন্ধ কোনও রকমে বাড়ির দরজা খুলে পুরনো বাড়িতে গিয়ে দেখেন সামনের দরজা ভাঙা। বাড়ির ভিতরে সমস্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং নগদ ৮০ হাজার টাকা, বউয়ের সোনার মঙ্গল সূত্র, কানের দুল, আংটি নেই এবং মেয়ের মোবাইল ফোন এবং একটি হাটঘড়ি নেই। আশপাশে জানাজানি হতেই সামনেই একটি বিßুñট কারখানার লোকজন তাঁদের কারখানাতেও চুরির চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন। কারখানার সিসিটিভি দেখে বোঝা যায়, কূটরা মানে সুমন দত্ত এই চুরি করেছে। সালানপুর থানার পুলিশ এসে দেখে যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।