সোমবার সকালে বোমা বিস্ফোরণে এক কিশোরের মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সূত্রে খবর, এদিন সকালে শৌচকর্ম করতে গিয়ে প্রাণ যায় রাজু রায় নামে বছর ১১-র এই কিশোরের। কিশোরের মৃত্যুর পর বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে সক্রিয় পুলিশ। এই ঘটনার দু’ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তারও করা হয় দুজনকে। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে আরও ৭-৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সূত্রে খবর, সকালে শৌচাগারে গিয়েছিল বছর ১১-র রাজু রায়। তারপরই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশ। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শৌচালয়ের ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় রাজুকে। কোনওরকমে তাঁকে সেখান থেকে বের করা হয়। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁর বক্সিপল্লি এলাকা।
এদিকে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে আর কয়েকদিনের মধ্যে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সোমবারের এই ঘটনার পর প্রশাসনের উপর চাপ বেড়েছিল। সেই কারণে তড়িঘড়ি এই গ্রেপ্তারি বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েনও করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের শীর্ষকর্তারাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যেই ধৃত দু’জনের জেরা শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে বোমাগুলি মজুত করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিকে এদিন ঘটনাস্থলে আসেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্ত। এই বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এখানে মানুষে মানুষে ভাগাভাগি চলছে, তোষণের রাজনীতি চলছে। সরকারে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের উপর। এটা প্রথম ঘটনা নয়, আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। আমার মনে হয় মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশ তৈরির করার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’
এদিকে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। পূর্বে বনগাঁর অপরাধের মাত্রা কমিয়ে শূন্যে আনা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালের পর এই বিধানসভায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আবারও বাড়বাড়ন্ত অপরাধীদের। প্রশাসনকে অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’ এদিন বিস্ফোরণে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল বিধায়ক।