উত্তরপ্রদেশে পুরভোট নির্বাচনে একেবারে ল্যান্ড-ল্যান্ড-স্লাইড ভিক্ট্রি বিজেপির। আর এর পিছনে যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকাই প্রধান। এই জয়ের কৃতিত্বের কাণ্ডারী যে যোগী আদিত্যনাথ তা জানাতে দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
উত্তরপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে পুর কর্পোরেশনের ১৭ টির মধ্যে ১০ টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই জয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উন্নয়নে জনগণের সমর্থন প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের এই নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ে তাদের পারফরমেন্সের প্রশংসাও করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এও জানান, ‘পুর কর্পোরেশনের ১৭ টির মধ্যে ১০ টিতে জয়ী হয়েছে। সেখানে কার্যকরভাবে ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হচ্ছে।‘
পুরভোটের বিজেপির জয় আনতে প্রবল পরিশ্রম করেছেন যোগী আদিত্যনাথ, শুধু মোদি-ই নন, এটা মানছেন স্যাফ্রন ব্রিগেডের সব নেতাই। গোরক্ষপুর থেকে অযোধ্যা আবার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েও প্রচার করতে দেখা গেছে যোগী আদিত্যনাথকে। প্রচারের মূল মন্ত্রই ছিল উন্নয়ন এবং সুশাসন। রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে কোনও রকম খামতি রাখেনি উন্নয়নে তার বার্তাও দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আম-জনতাকে।
ফলে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় একদিকে বিজেপি শিবিরে বড় ধাক্কা এনেছে অপরদিকে উত্তর প্রদেশে পুরনির্বাচনে জয়ের ধারা বজায় রেখেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে যে যোগী আদিত্যনাথই রয়েছেন তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের উন্নয়নের প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি। বিধানসভা নির্বাচনের মত পুরভোটের প্রচারেও খেটেছেন তিনি। ১৩ দিনে গোটা রাজ্যে ৫০ টি সভা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। পুরভোটের প্রচারে এর আগে উত্তর প্রদেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই এই ভাবে প্রচার করতে দেখা যায়নি। তার ফল ব্যালট বক্সে পেয়েছেন যোগী। ১৭টি মেয়র পদে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৫৪৪টি আসনের নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। আবার ১১৯টি নগরপালিকায় জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের দুই উপনির্বাচনে বিজেপির শরিক দল আপনা দল জয় পেয়েছে। বিজেপি সমর্থিত আপনাদল প্রার্থীরা দুই কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই উত্তর প্রদেশে পার্টির সদর কার্যালয়ে উল্লাস শুরু করে দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিলি হয় মিষ্টিও।