নতুন দিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার, নবরাত্রির শুরু একদিন আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জিএসটি সংস্কারকে ‘সঞ্চয় উৎসব’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, গত এক বছরে ‘নাগরিক দেবো ভবঃ’ ভাবনার সঙ্গে সরকার যে কর সংস্কার করেছে, তাতে নাগরিকদের আড়াই লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএসটি সংস্কারের ফলে প্রতিদিনের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় জিনিস সস্তা হয়ে যাবে। তিনি জানান, এখন অধিকাংশ পণ্য ৫ শতাংশ করের আওতায় আসবে। এতে খাবার-দাবার এমনকি ভ্রমণ করাও সস্তা হয়ে যাবে। এই সময়ে তিনি আবারও দেশি পণ্যের ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষ যেন ভারতে নির্মিত পণ্যের প্রতি অগ্রাধিকার দেয়। তিনি বলেন, উন্নত ভারতের জন্য আত্মনির্ভর ভারত অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা স্বদেশী মন্ত্রের শক্তিতে এসেছে। তেমনভাবেই দেশের সমৃদ্ধিও স্বদেশী মন্ত্র থেকেই আসবে। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারতের পথে ছোট, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প (এমএসএমই)-এর ভূমিকা তুলে ধরেন এবং তাদের উৎসাহ দেন, যেন তারা দেশের প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি বৈশ্বিক মানের পণ্য সরবরাহ করে। তিনি বলেন, ভারতের সোনালী যুগেও এই শিল্পগুলিই ভারতের খ্যাতি তৈরি করেছিল। এবার সেই গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে জিএসটি আসার আগে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য পাঠানো ব্যয়বহুল এবং কঠিন ছিল। বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদে জিনিস পাঠানোর চেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে ইউরোপ এবং সেখান থেকে হায়দরাবাদে পাঠানো সহজ ছিল। নানা ধরনের কর কাঠামো ছিল, যার খেসারত দিতে হতো শেষ পর্যন্ত গ্রাহককেই। তার সরকার ক্ষমতায় এসেই সকল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে জিএসটি চালু করে এবং এখনও সেই সংস্কার অব্যাহত রয়েছে। তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের রাজ্যে উৎপাদন কার্যক্রম জোরদার করে আত্মনির্ভর ভারত এবং স্বদেশী কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে। বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে যেন অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলে।

