বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর ভাষণে শোনা গেল বহুত্ববাদের কথা। দেশের প্রথম জনজাতি গোষ্ঠীর রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে ভারত সফল হয়েছে কারণ, নানা ধর্ম এবং ভাষা আমাদের বিভাজিত করেনি, তারা কেবল আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এবারই প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। তাই দ্রৌপদী কী বলেন, সেইদিকে নজর ছিল দেশবাসীর। বক্তৃতার শুরুতেই গত কয়েকবছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ কতখানি এগিয়েছে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি। এই সরকারের সময় আদিবাসী জনজাতিরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। আর্থিকভাবেও স্বনির্ভর হচ্ছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতির প্রশংসাও শোনা গিয়েছে দ্রৌপদীর মুখে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তোলা এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার ক্ষেত্রে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকরী হবে।’ দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কৃষক, শ্রমিক, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ এবং সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি।
বিগত সাড়ে ৭ দশকে ভারতীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের কথা জানাতে গিয়ে বিআর আম্বেদকরের প্রসঙ্গ এনেছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, ‘সংবিধান প্রণেতাদের দূরদৃষ্টি ভারতকে একটি গরিব এবং নিরক্ষর দেশ থেকে একটি আত্মবিশ্বাসী জাতিতে রূপান্তরিত করেছে।’ অর্থনীতিতে দেশের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য, ‘অতিমারি পরিস্থিতির পরে সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ দেশকে দ্রুত বিকাশশীল অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে।’