বর্ষার জল শুরু হতেই বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে আরামবাগের নদীবাঁধ এলাকার মানুষ

মহেশ্বর চক্রবর্তী

হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা মানেই বন্যা প্রবণ। প্রায় প্রতি বছরই বন্যার জলে এই মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। বর্ষা চলে আসায় চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধ এলাকার মানুষে। কেন না ২০২১ সালের তিনবার বন্যা হয় এই মহকুমায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খানাকুল। উদ্ধার কার্যের জন্য সেনা পর্যন্ত নামাতে হয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বন্যা পরিদর্শনে আসেন। তাই খানাকুলের মানুষ রীতিমতো বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। চলতি বছরেও যদি বন্যা হয় তাহলে খানাকুলের নদীবাঁধ এলাকার মানুষকে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। জানা গিয়েছে, মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর ও রুপনারায়ণ নদী দিয়ে দিয়ে ঘেরা আরামবাগ মহকুমা। বিশেষ করে খানাকুল বিধানসভার দুটি ব্লক। কয়েকশো গ্রাম রয়েছে নদীবাঁধের কাছে। বন্যার সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নদীর একেবারে গা ঘেঁষে থাকা বেশ কয়েকশো গ্রামের মানুষ তো সারা বছর আতঙ্কে থাকে। নদী বাঁধের ওপর বড় বড় গর্ত ও নদীবাঁধ বসে যাওয়ায় বিষয় দেখলেই গ্রামের মানুষের রাতের ঘুম চলে যায়। বর্ষা চলে এসেছে। আবার বাঁধ ভেঙে যদি বন্যা হয় তাহলে জলবন্দি ভাবে দিন কাটাতে হয়। এক মুঠো অন্নের জন্য হাহাকার করতে হবে। বর্ষা প্রায় চলে আসার কারনে গ্রামের মানুষ বাঁধ মেরামতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। বন্যা প্রতিরোধের জন্য ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। বন্যার জলে ভেসে যাওয়া কয়কশো গ্রামের ভয়াবহ দৃশ্যের কথা অথবা বন্যা পরবতী এখনও ধ্বংস স্তুপ দেখে বুক কাঁপে খানাকুলের বিস্তৃর্ণ এলাকার মানুষের। এই বিষয়ে ঠাকুরানি চক এলাকার বাসিন্দা সুমন মণ্ডল জানান,  বাড়ি কিংবা নদীবাঁধে ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে হয় গ্রামের মানুষকে। তাই তারা দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি তুলেছেন। বাঁধের ওপড় ভযঙ্কর গর্তকে যদি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মেরামত না করা হয় তাহলে বন্যার জল গ্রামে প্রবেশ করবে। অপরদিকে স্থানীয় প্রধান শীতল মণ্ডল বলেন, বন্যা প্রতিরোধে সেচ দপ্তর কাজ করছে। আমারা এলাকার মানুষের পাশে আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 11 =