কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন নেইমাররা। ব্রাজিলের হেক্সা ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ করেছে ক্রোয়েশিয়া। এ বারের বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। সেই ব্রাজিল আর টুর্নামেন্টেই নেই। দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের স্বপ্নভঙ্গের রাতে নেইমার ছুঁয়ে ফেলেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। কিন্তু দিনটা সেলেকাওদের ছিল না। ২০০২ সালের পর থেকে এই নিয়ে পাঁচ বার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ইউরোপের একাধিক দলের কাছে হারের মুখ দেখল ব্রাজিল। সেমিফাইনালে না উঠতে পারলেও, পেলে ব্রাজিলের তারকা নেইমারকে সান্তনা দিলেন।
পেলের রেকর্ড (দেশের হয়ে ৭৭টি গোল করার রেকর্ড) স্পর্শ করার জন্য নেইমারকে অভিনন্দন জানিয়ে ইন্সটাগ্রামে এক দীর্ঘ বার্তা লিখেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। তিনি লেখেন, “আমি তোমাকে বড় হতে দেখেছি, আমি প্রতিদিন তোমার জন্য উল্লসিত বোধ করতাম এবং অবশেষে ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার গোল সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলার জন্য আমি তোমাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা দু’জনেই জানি যে এটি একটি সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব অন্যদের অনুপ্রাণিত করা। আমাদের সহকর্মীদের অনুপ্রাণিত করো। পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করো এবং সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করো যারা আমাদের খেলাধুলা ভালোবাসেন।”
এরপরই পেলে দুঃখপ্রকাশ করে লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত, দিনটি আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের নয়। কিন্তু তুমি সর্বদা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উত্তরাধিকার আরও বেড়েছে। আমি প্রায় ৫০ বছর আগে রেকর্ড গড়েছিলাম। এবং এখনও পর্যন্ত কেউ এর কাছাকাছি আসতে পারেনি। তুমি পেয়েছো। নেইমার তাই এটা তোমার মহত্ত্বকে মূল্য দেয়। যাইহোক, তুমি জানো আমাদের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দের চেয়ে আর বড় কিছু হয় না। আমি বয়স ৮২ বছর, এবং এতদিন পরে আমি আশা করি আমি তোমাকে এতদূর নিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেছি। তার চেয়েও বেশি, আমি আশা করি তোমার কৃতিত্ব লক্ষ লক্ষ লোককে উজ্জ্বীবিত করবে, যারা তোমাকে অনুসরণ করবে। আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করতে থাকো। আমি তোমার প্রতিটি গোলের পরই সেলিব্রেট করব, যেমন আমি প্রতিটি ম্যাচে তোমাকে মাঠে দেখে করেছি।”