ব্রাজিল জার্সিতে সিক্স স্টার দেখার আশায় ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে। কোচ তিতের দল নির্বাচনে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ব্রাজিল জার্সি গায়ে পুরনো একটি ফটো পোস্ট করে নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “শেষ বার আমি যখন ব্রাজিলের জার্সি পরেছিলাম, তখন আমরাই প্রথম তিন বার বিজয়ী ছিলাম। এখন আমাদের পাঁচটি তারা আছে। ষষ্ঠ শিরোপা দেখার জন্য আমার তর সইছে না।” তাঁর টিম দেশের নাম উজ্জ্বল করবে সে ব্যাপারেও যথেষ্ট আশাবাদী ৮২ বছরের ব্রাজিল কিংবদন্তি।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম পেলে। ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ এনেছেন তিনি— ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০ সালে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন ‘ফুটবল সম্রাট’। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। কোলন ক্যান্সারের সমস্যা নিয়ে গত এপ্রিলে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসার জন্য। গত বছর অস্ত্রোপচার করে পেলের শরীর থেকে টিউমার বাদ দেওয়া হয়েছে। রুটিন চেক আপের সময় মূত্রনালীতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা আর দেরি করেননি। ৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার হয়।
সাময়িক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এরপর থেকে হাসপাতালে যাতায়াত লেগেই রয়েছে তাঁর। গত বছর পেলের ছেলে বলেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর বাবা সব সময়ে হতাশায় ভোগেন এবং বাড়ি থেকে বের হতে চান না। কারণ, তিনি সাহায্য ছাড়া ঠিক করে হাঁটতে পারেন না। যদিও এই দাবি পেলে খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি ভালো রয়েছি। আমি আমার শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়েই তার থেকে বেরিয়ে আসার পথ নিজের মতো করে খুঁজে নিয়েছি। বলের মতোই আমিও তরতর করে এগিয়ে যেতে চাই। আমার জীবনে ভালো দিন যেমন রয়েছে, খারাপ দিনও রয়েছে। আমার বয়সে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। এতে আমি ভীত নই। আমি যেটা করছি, সেই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
কোনও প্রতিকূলতাই পেলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারেনি। তাই এ বারও ব্রাজিল নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি। তাঁর টিম দেশের নাম উজ্জ্বল করবেই, তাঁর বিশ্বাস। এ বার বিশ্বকাপে তিতের দলে জায়গা হয়নি লিভারপুলের ফরোয়ার্ড রবের্তো ফির্মিনোর। তবে কোচের দল নির্বাচনে শতভাগ আস্থা আছে পেলের। দলকে শুভেচ্ছা বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ব্রাজিল। গ্রুপ জি-তে নেইমারদের পরের দুটো ম্যাচ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে।