কলকাতা: দুর্নীতি কাণ্ডে হেভিওয়েটরা গ্রেপ্তার হলেই দেখা যায় তাঁরা অসুস্থ বোধ করছেন। আর তাঁদের চিকিত্সার জায়গা হয়ে ওঠে কলকাতার সরকারি এসএসকেএম হাসপাতাল।পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরই অসুস্থবোধ করায় তাঁরও চিকিত্সা হয় এসএসকেএমে।আদালতে আপিল করা হলে কোনও একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির অনুমতিও দেওয়া হয়। এরপরই তিনি এসএসকেএম-এ ভর্তি হন।তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই মামলার শুনানিতেই এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েই এবার প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রবিবার ইডি-র করা মামলায় কার্যত এসএসকেএম-কে ভর্ৎসনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিচারপতির নির্দেশেই সোমবার সকালে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে।
এদিকে মন্ত্রীকে ভুবেনশ্বর এইমস নিয়ে গেলে শুরু হয় জনতা-বিক্ষোভ। মন্ত্রীর জন্যই চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না, অভিযোগ তুলে ভুবনেশ্বর এমসের সামনে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের সিংহভাগই বাংলার বাসিন্দা। এ রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে ভিন্ রাজ্যে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও বিঘ্ন ঘটছে এ রাজ্যের ‘ভিআইপি’ রোগীর কারণে।
কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভুবনেশ্বর এমসে ভর্তি হতেই কেন বিক্ষোভ? এক রোগীর কথায়, ‘এখানে এসে লাইন দিয়ে ওষুধ জোগাড় করতে হয়। হেভিওয়েট মন্ত্রীর জন্য অনেক অসুবিধে হচ্ছ। এই বিক্ষোভ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এখানকার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না ইডির হেপাজতে দেওয়া হবে।