পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হোক! অধীরের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হতেই আসরে নেমেছে বিরোধীরা। ক্রমশই চাপ বাড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর।সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অধীরের লেখা চিঠিতে সরাসরি পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবি করা হয়েছে।  অধীর তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপনার মন্ত্রিসভার শিল্পমন্ত্রী। পরিষদীয় মন্ত্রীও। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। সেই সময় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এখন এই দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। বাংলার মানুষ সকলেই সবটা জানেন। আদালতের হস্তক্ষেপের পর তদন্তকারী সংস্থাগুলি পদক্ষেপও করছে। সরকারের জন্য এমন ঘটনা কালো দাগ। আমার আবেদন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।’

রাজনীতিতে দুর্নীতির অভিযোগের উদাহরণ বহু রয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে বিপুল সম্পত্তি ও নারীযোগের যে অভিযোগ, তা নিয়ে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পার্থ। সংগঠন ও মন্ত্রিসভায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাঁর মতো একজন ‘হেভিওয়েট’ নেতার এভাবে দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যে বিরোধীদের পালে হাওয়া দিয়েছে তা বলাই যায়। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই তাল ঠুকছে।সোমবারই নজরুল মঞ্চের এক অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয়, তৃণমূল কংগ্রেস রেয়াত করে না। অন্যায় করলে আমি নিজের বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদেরও রেয়াত করি না।” যদিও সিপিএমের দাবি, মুখে বললেও, সে কথার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর দূরত্ব। অন্য দিকে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়ভার তো ওঁকেই নিতে হবে।” এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 7 =