হাই কোর্টের নির্দেশের কিছু অংশের সংশোধন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ পার্থ

কলকাতা: রবিবারই হাই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েক এসএসকেএম-এ ভর্তি প্রসঙ্গে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বলেছিলেন, ‘প্রতিটি প্রভাবশালীর নিরাপদ জায়গা এসএসকেএম।’ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলে ক্ষমতা ও পদ ব্যবহার করে বর্ষীয়ান মন্ত্রী রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা ও চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যেতেও পারেন বলে। আদালতের নির্দেশে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রীকে এসএসকেএমে ভর্তি করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালতের নির্দেশের কিছু অংশ মুছে দেওয়ার অনুরোধ করে আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রীর তরফে আইনজীবী দেবাশিস রায় ও আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য আবেদন জানিয়েছেন হাইকোর্টে।

আদালত বলেছিল বর্ষীয়ান ক্যাবিনেট মন্ত্রী, যাঁর অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।যদি এটা ঘটে (জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান) তাহলে বিচার ব্যবস্থা হাজার হাজার যোগ্যপ্রার্থীদের অশ্রু ধারায় অভিশপ্ত হবে। যাঁদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তরা। দুর্নীতিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বিপুল টাকা সংগ্রহ করেছেন অভিযুক্তরা।

পাশাপাশি কেস ডায়েরি থেকে দেখা গিয়েছে যে তল্লাশি অভিযানের সময় অভিযুক্তের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। ফলে আইনজীবী থাকতে না দেওয়ার যে অভিযোগ অভিযুক্ত তুলেছেন, তা সম্ভবত মিথ্যা।

আদালতের পর্যবেক্ষণের পরই এসএসকেএম-এর বদলে ভুবনেশ্বর এইমস-এ চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই তিনটি অংশ নিয়েই মূলত আপত্তি মন্ত্রীর আইনজীবীদের। এই নির্দেশগুলোর সংশোধন ও কিছু জিনিস মুছে ফেলার আর্জি জানানো হয় সোমবার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 5 =