ফের আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার প্রাক্তন মন্ত্রী দাবি করেন, নিয়োগে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। নিয়োগ কর্তা মন্ত্রী নন। গোটা প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকে বোর্ডের হাতে। এরই পাশাপাশি এদিন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করতে দেখা যায় পার্থকে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার সকালে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখান থেকে বেরনোর সময়ই ফের পার্থদাবি করেন তিনি নির্দোষ। একইসঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে প্রাক্তন মন্ত্রী জানান, ‘একবছর তো হয়ে গেল। কিছুই তো হল না।’ তবে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে সোনা ও টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গে তার দায় কৌশলে এড়িয়ে যান। বলেন, ‘যার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে সে বলতে পারবে।’
তবে এদিন উধাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের আংটি। কারণ, গত শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল গহনাগাটি সমেত কীভাবে গারদে রয়েছেন তিনি তা নিয়েই। আর এখানেই ইডি-র তরফ থেকে তোলা হয় ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বের কথা। এরপর তলবও করা হয় জেল সুপারকে। সূত্রের খবর, সেই চাপেই সোমবার অলঙ্কারহীন অবস্থায় দেখা যায় পার্থকে। তবে এদিন তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ওটা অলঙ্কার ছিল না। ধর্মচারণের অংশ ছিল। আমি ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলে।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘ইডি অফিসের ছ’তলায় ঠাকুরের ছবি রয়েছে। ওরা যদি ধর্মাচরণ করতে পারে আমি পারব না কেন? ইডি তো আমার আংটি খোলেনি।’ এদিকে সোমবার আদালত চত্বর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান পার্থ।