কলকাতা: পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে কোটি কোটি টাকা। তদন্ত এগোতেই জেলায় জেলায় নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। তবে তার পরেও প্রাক্তন মন্ত্রী নাকি ইডির জেরায় ‘স্পিকটি নট’। ১৪ দিনের জেল হেপাজত শেষে পার্থ ও অর্পিতাকে বৃহস্পতিবার তোলা হয়েছিল আদালতে। এদিন, আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কেও মুখ খোলেননি তিনি। বুধবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পার্থকে জেরা করে ইডি। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, তাঁর ফোন থেকে জীবন বিমা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার কথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে জানান ইডি-র আধিকারিকরা। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, তাঁর বয়ানের কাগজ সই করাতে গেলে পার্থ নাকি তা ছিঁড়ে ফেলে দেন। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনই দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী।
ইডি-র বিশেষ আদালতে ইডি-র আইনজীবী বলেন, পার্থর ৬০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৩০টি ভুয়ো কোম্পানির হদিশ মিলেছে। পার্থ ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক কোম্পানির হদিশ মিলেছে। দুর্নীতির টাকা কোম্পানির নামে ট্রান্সফার হয়েছে। পার্থর স্ত্রীর ট্রাস্টের নামে মেদিনীপুরে স্কুল, উত্তর ২৪ পরগনার গোবাগাছিতে ফার্ম হাউস রয়েছে। পাশাপাশি, অর্পিতার LIC-র প্রিমিয়াম পার্থর অ্যাকাউন্ট থেকে যেত, চেন পদ্ধতিতে কালো টাকা সাদা করা হত বলেও আদালতে দাবি করা হয়েছে।
আগেই তদন্তে উঠে এসেছিল অর্পিতার প্রত্যেকটি জীবন বিমার নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং সেখানে পার্থকে তাঁর ‘আঙ্কল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালতে ইডি-র দাবি, অর্পিতার জীবন বিমার প্রিমিয়াম ভরতেন পার্থ। এদিন আদালতে পার্থ-অর্পিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ৩১ জুলাই পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতাকে তাঁদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।