ব্যারাকপুর :বিপজ্জনক বাড়ি নোটিস দিয়েছিল পুরসভা।
কিন্তু তারপরেও বাড়ি খালি হয়নি। নিজে আবার রয়েছে দোকানপাটও। শুক্রবার আচমকা ভেঙে পড়ল নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ওই বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ। নৈহাটি স্টেশন থেকে ফেরিঘাট যাওয়ার রাস্তায় আচমকা জরাজীর্ণ বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন, নৈহাটি থানার পুলিশ, নৈহাটির পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধান যথাক্রমে অশোক চট্টোপাধ্যায় ও ভজন মুখার্জি। জানা গিয়েছে, ভগ্নদশায় পরিণত ওই তিন তলা বাড়ির নীচের তলায় দোকানপাট আছে। আর ওপরের তলে দুটো পরিবার থাকত। পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় চাঙর খসে পড়ে আহত হয়েছেন পথচারী ৩১ বছরের দীপেন দাস। তার বাড়ি ভাটপাড়া থানার নারায়ণপুর বিবেকানন্দ রোডে। অন্য দিকে নৈহাটির এসসি পাল রোডের বাসিন্দা ৪৭ বছরের দেবযানী বৈরাগ্যর পায়ে আঘাত লেগেছে। তিনি দোকানে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন।
™ুলিশ জানিয়েছে, জীর্ণ বাড়ির বসবাসকারী দু’টি পরিবারকে অন্যত্র রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে উপ-পুরপ্রধান ভজন মুখোপাধ্যায় জানান, ওই বাড়ির মালিক বেণীমাধব দাস বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর উত্তরাধিকারী ও ভাড়াটিয়া অনেকেই অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বর্তমানে এখানে একটি শরিক পরিবার এবং একটা ভাড়াটিয়া পরিবার থাকতেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির নিচের তলায় দোকানদাররা ব্যবসা করছেন। উপ-পুরপ্রধান আরও বলেন, ১৫ বছর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ি ঘোষণা করে নোটিস লাগানো হয়েছিল। উল্লেখ করা হয়েছিল, এই বাড়ি বসবাসের যোগ্য নয়।
পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই জীর্ণ বাড়িটির শরিক অনেকজন। বাড়ির নীচে দোকানও আছে। তবে বড় ধরনের ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলেছে। বাড়িটি ভাঙার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।