কলকাতা: ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে তালতলা থানায় হাজিরা এড়ালেন পরেশ রাওয়াল। পাশাপাশি অভনেতা এও জানান, তিনি কলকাতায় হাজিরা দিতে আসতে পারবেন না। আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন তাঁর। প্রসঙ্গত, মাছে-ভাতে বাঙালির অভ্যাস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতা পুলিশে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ ডিসেম্বর পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে সমন জারি করে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের তরফে তখনই জানানো হয়, ৪১এ ধারায় অভিনেতার বিরুদ্ধে একটি সমন জারি করা হয়েছে। এরপর তাঁকে তালতলা থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নোটিশের জবাবে লালবাজারে একটি মেল করেন পরেশ রাওয়াল। আর এই মেলেই তিনি তদন্তকারী আদিকারিককে জানান, কলকাতায় হাজিরা দিতে তাঁর আরও ছয় সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত।
প্রসঙ্গত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে বাঙালিদের নিয়ে একটি মন্তব্য করেন পরেশ রাওয়াল। বলেছিলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়লে তা আবারও সস্তা হয়ে যাবে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তা কমে যাবে। মানুষ চাকরিও পাবেন। মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা গুজরাতের মানুষ সহ্য করতে পারে। কিন্তু, যদি দিল্লির মতো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা আপনার বাড়ির পাশে থাকতে শুরু করে, তাহলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?’ পরে্শ রাওয়ালের এই মন্তব্যের পরই চরম ক্ষোভ জন্মায় সমাজের সর্বস্তরে। তৈরি হয় অসন্তোষ।
এদিকে পরেশের এই বক্তব্য শোনার পই সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বর্ষীয়ান এই অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তালতলা পুলিশ স্টেশনে এই এফআইআর দায়ের হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে ডেকে পাঠায় লালবাজার। শত্রুতা ছড়ানো, ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা, জনসমক্ষে বিদ্রুপ করার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, পরেশ রাওয়ালের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, ‘বহু সংখ্যক বাঙালি এ রাজ্যের বাইরেও থাকেন। তাঁদের টার্গেট করেই এ কথা বলা হয়েছে।’
